চট্টগ্রামবাসীর আশা আকাক্সক্ষা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে পূর্বদেশ : মেয়র

10

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আজ (সোমবার) পূর্বদেশ ১১ বছরে পদার্পণ করেছে। গত ১০ বছরে পূর্বদেশ নিজেকে প্রমাণ করে আজকের অবস্থানে এসেছে। পত্রিকার গুণগত মান ধরে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বদেশ তাদের গুণগত মান ধরে রেখে এগিয়ে চলেছে। আমি পূর্বদেশের অগ্রযাত্রায় জড়িত সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকদের আত্মত্যাগ অনস্বীকার্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের চিত্র সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন। লেখনির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজয়কে আরও অনুকূলে এনেছেন সাংবাদিকরা।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামবাসীর আশা আকাক্সক্ষা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে পূর্বদেশ। দেশ ও জাতির বাস্তব প্রতিচ্ছবি উঠে আসে গণমাধ্যমের চোখ দিয়ে। পূর্বদেশের চোখ দিয়ে আমরা চট্টগ্রামের মূল চিত্র দেখতে পাই। সাংবাদিকরা সমাজ বদলানোর হাতিয়ার। তাদের কলম-ক্যামেরা, লেখনি শুধু উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনার খবর দেয় না, সচেতনতারও বার্তা দেয়। মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারবঞ্চিতদের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা বরাবরই প্রশংসনীয়। তবে বর্তমান মূলধারার সাংবাদিকরা বিব্রত হচ্ছে। কার্ড ছাপিয়েই অনেকে সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছে। এসব রোধে প্রকৃত সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
দার্শনিক সক্রেটিসের উক্তি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, একটা সময় আসবে পÐিত লোকেরা তাদের জ্ঞানের জন্য অনুশোচনা করবে, আর মূর্খরা তাদের মূর্খতার জন্য গর্ববোধ করবে, দুর্নীতিবাজরা তাদের দুর্নীতির জন্য উল্লাস প্রকাশ করবে। আমার মনে হয় আমরা সেই অবস্থায় চলে এসেছি। তাই সাংবাদিকদের এই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। কারণ আপনারাই সমস্ত জাতিকে পথ প্রদর্শিত করবেন। আজকে আমরা সবাই আদর্শের কথা বলি, কিন্তু কেউ আদর্শের চর্চা করি না। নেকড়েরা ঐক্যবদ্ধ হয় শিকারের জন্য, যখন শিকারের ভাগ-বাটোয়ারা হয় তখন তাদের মধ্যে আর ঐক্য থাকে না।
মেয়র বলেন, বিভিন্ন সময়ে অনেক সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তবে টিকে থাকতে পারে নি সবগুলো। কারণ মানুষের মনে স্থান করে নিতে হলে মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে। পাশাপাশি সেটা লিখতে হবে। মানুষের কথা প্রকাশ করলে প্রতিটি পত্রিকা যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে। পূর্বদেশ গত ১০ বছরে সে কাজটি ভালোভাবেই করেছে। আশা করছি আগামীতে পূর্বদেশ তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।