চকরিয়া পৌর নির্বাচন সহিংসতার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে

3

চকরিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় নৌকা প্রতীকের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেইন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার জন্য স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক ও তার বাহিনীকে দায়ী করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে এদিন বিকাল ৪ টায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র আলমগীর দাবি করেন, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেইন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে নৌকার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন আমার কর্মী সবুজ, রাজিব খান, রোপেচ খান ও অন্যান্য কর্মীরা। এ সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হকের মাস্তান বাহিনীর- মিজানুর রহমান, রুবেল, দলিল, আব্দুল কাইয়ুম, শিব্বির আহামদ, হুমায়ুন কবির, হাসান আল বছরী, মো. শোয়াইব, মিজানুর রহমান, আব্দুল মজিদ, নুরুল আবচার, নুরুল হক, সাদ্দাম হোসেন, মিশুক, মো. পারভেজ ও মো. ফেরদৌস ও তাদের সহযোগিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার কর্মীদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের শর্টগান থেকে গুলি ছুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পর আমার কর্মীদের ধরে লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে বেদম মারধর করে। এমনকি সন্ত্রাসীরা আমার কর্মী সবুজ চৌধুরী, রাজিব খান ও রোপেচ খানের উপর বিদ্যুতের হিট দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। বর্তমানে তারা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর আরও বলেন, আমি মেয়র হিসেবে গত ৫ বছর ধরে পৌর এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। তাই আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীর সমর্থকরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এখন আমি নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে শংকিত। তিনি বলেন, যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এজন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নৌকা প্রতীকের কয়েকশত সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। পরে হামলার নিন্দা জানিয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা একটি ঝাড়– মিছিল বের করেন।