চকরিয়ায় শিশুকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন!

5

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়ায় সুপারী চুরির অপবাদ দিয়ে শাহাদাত হোসেন নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বৃন্দাবনখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশু শাহাদাত হোসেন ওই এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে।
জানা যায়, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল শাহাদাত। এ সময় সড়কের পাশে একটি সুপারী গাছের নিচে চারটি সুপারী পড়ে ছিল। পরে বাড়ির মালিক নাসির উদ্দিন এসে সুপারী চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু শাহাদাত হোসেনকে সুপারী গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালায়। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিউল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, চুরির অপবাদে বাড়ির মালিক নাছির উদ্দিন শিশু শাহাদাতকে গাছের সাথে বেঁধে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার পর তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়। বিষয়টি এলাকার লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নির্যাতনের শিকার শিশু শাহাদাত হোসেনের বড় ভাই আবদুর রহিম বলেন, আমার ছোট ভাই শাহাদাত রাতে নানার বাড়ি থেকে ঘরে ফিরছিলো। পথে নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি সুপারী চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ভাইকে গাছের সাথে বেঁধে ব্যাপক মারধর করার পর তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়। আমি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, শিশু নির্যাতনের বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিউল আলমকে পাঠিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, হারবাং ইউনিয়নে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।