চকরিয়ায় ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিটি ছিল একটি খেলনা বন্দুক

45

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত কয়েকদিন ধরে ভাইরাল হওয়া বন্দুকসহ একটি ছবি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে চকরিয়া পৌর শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বন্দুকসহ ছবি দেওয়া সাইফুল ইসলাম রবিবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটির একজন সদস্য। বর্তমানে আমি কক্সবাজার সরকারি কলেজে জীব বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের পক্ষ হয়ে কাজ করেছি। এ নির্বাচনে এলাকার ভোটারদের সরাসরি ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী চতুর্থ বারের মতো চেয়ারম্যান হন। নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনের পরে আমাকে জেল জুলুমের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ হুমকি উপেক্ষা করে আমি আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ চালিয়ে যাই। এ সময় হঠাৎ আমার এনড্রয়েড মোবাইলটি ফোনটি চুরি হয়ে গেলে ওই মোবাইলে আমার ভাগ্নের প্লাস্টিকের খেলনা বন্দুক হাতে নিয়ে থাকা একটি ছবি দুষ্টুমি করে মোবাইলে আপলোড করে দেয়। পরে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে তা বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনলাইনে নিউজ আকারে প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম আরও দাবী করেন, প্লাস্টিকের খেলনা বন্দুকের ছবিটিকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য নির্বাচনের পরে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচনে পরাজিত একটি পক্ষের লোকজন পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে এ জঘন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। পরে বিষয়টি থানা প্রশাসনের নজরে আসলে আমি খেলনা বন্দুকটি নিয়ে স্ব-শরীরে গিয়ে থানায় জমা দিয়ে আসি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এটি ছিল প্লাস্টিকের একটি খেলনা বন্দুক। ছাত্রলীগ নেতা সাইফুলের ভাগ্নের খেলনা বন্দুক নিয়ে ছবিটি তোলা হয়। ওই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় ডেকে এনে প্লাস্টিকের খেলনা বন্দুকটি জমা রাখা হয়।