চকরিয়ায় নাতনীকে হত্যার অভিযোগ নানীর বিরুদ্ধে

30

চকরিয়ায় স্কুলছাত্রী নাতনীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নানীর বিরুদ্ধে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নানী ছখিনা খাতুনকে (৫৫) আটক করেছে।
নিহতের নাম শারমিন আক্তার (১৪)। সে ডুলাহাজারার মালুমঘাট চা-বাগান এলাকার মৃত নুরুল কবিরের মেয়ে এবং পৌর সদরের হাজিয়ান এলাকার একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। শারমিনের মা সাজেদা বেগম ওমান প্রবাসী।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার হাজিয়ান এলাকায় নানা বাড়িতে এ মর্মান্তিক
ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হাজিয়ান এলাকার সাজেদা বেগমের সাথে ডুলাহাজারার চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা নুরুল কবিরের বিয়ে হয়। বিয়ের দীর্ঘদিন পরও তাদের সংসারে কোন সন্তান না আসায় শারমিনকে দত্তক নেন সাজেদা-নুরুল দম্পতি। দত্তক নেয়ার কিছুদিন পর মারা যান নুরুল কবির। পরে সংসারে হাল ধরতে মা সাজেদা বেগম গৃহকর্মী হিসেবে ওমান চলে যান। তারপর থেকে হাজিয়ানস্থ নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শারমিন পড়ালেখা করছিল।
শারমিনের ফুফুু খালেদা বেগম বলেন, শনিবার সকালে শারমিন অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে তাকে দেখতে তার নানা বাড়িতে যাই। এ সময় তাকে ওই বাড়িতে শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত শারমিনের কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শারমিনকে তার নানী গলাটিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠার পর পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
খালেদা বেগম আরও বলেন, কয়েকদিন আগে শারমিনের মা সাজেদা বেগম ওমান থেকে চার হাজার টাকা পাঠায়। এর মধ্যে নানীর জন্য দুই হাজার ও মেয়ের জন্য দুই হাজার টাকা। হয়তো এ টাকার লোভে নাতিকে হত্যা করেছে নানী।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শারমিন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী খুন হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।