চকরিয়ায় খাল ভরাটের বিরুদ্ধে অভিযান এক্স

36

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় শতবছরের ঐহিত্যবাহি কদ্দাছড়া খাল ভরাট করে স্থানীয় নবী চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের কাজ করায় ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় থানা পুলিশ, সাংবাদিক ও ভূমি অফিসের লোকজন ছাড়াও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউএনও নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমানের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কেবেটর দিয়ে মাটি কেটে শাখা খাল ভরাটের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন ভরাট করা ওই জায়গা তাদের খতিয়ানভুক্ত বলে দাবি করলেও তার পক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে আপাতত সেখানে কোন ধরনের মাটি ভরাট কাজ না করার নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আগামী রবিবার অভিযুক্তপক্ষের লোকজন জায়গার কাগজপত্রসহ উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে যদি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারেন তাহলে কদ্দাছাড়া খাল ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় কোরালখালী এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বেশ কয়েকদিন ধরে শাসক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় নবী চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের জন্য স্কেবেটর দিয়ে মাটি কেটে এ খালের একটি অংশ ভরাট শুরু করেন। ফলে উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম চিরিঙ্গা-বদরখালী-মহেশখালী সড়কের পাশের এই খালটি দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে আগামী বর্ষা মৌসুমে ইউনিয়নের একটি বিশাল জনপদের পানি চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী। স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলের দাবি, পরিবেশ আইনে প্রবহমান নদী, শাখা খাল ও জলাধার ভরাট করা নিষিদ্ধ থাকলেও এ আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে স্কেবেটর দিয়ে মাটি কেটে ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণ করছেন নবী চৌধুরী।