চকরিয়ায় কিরিচের আঘাতে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

3

চকরিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মো. সেলিম (৪৩) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার সময় সন্ত্রাসীদের কিরিচের আঘাতে গুরুতর আহত শফিউল আলমও (৪৪) মারা গেছেন। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম ঘটনাস্থলে এবং শফিউল আলমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া নবীন ক্লাব এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সেলিম ওই এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে এবং শফিউল আলম একই এলাকার আবু সালামের ছেলে। তারা দুইজনই স্থানীয় আবু বক্কর হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এদিকে এ বর্বর হত্যাকান্ডের ঘটনা ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই আটক করতে পানেনি। তবে পুলিশের দাবি অপরাধিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলামের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম। তখন থেকেই এলাকার নানা ইস্যুতে ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম এবং পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিমের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য পৃথক দুইটি নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলে ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সেলিম।
স্থানীয় লোকজনের ধারনা, তাদের এ দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মানিকপুর উত্তরপাড়া বাজার এলাকার নবীন ক্লাবের সামনে মোহাম্মদ সেলিম ও শফিউল আলম দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দা.কিরিচ দিয়ে তাদেরকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সেলিমকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত শফিউল আলমের অবস্থাও আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ( চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১১টার দিকে মারা যায় শফিউল আলম।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহত মোহাম্মদ সেলিম ও শফিউল আলম দুইজনই স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবু বক্কর হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর পাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।