চকরিয়ায় অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

58

চকরিয়ায় অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর আড়াই বছর বয়সী শিশু আল ওয়াছির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাতামুহুরী ব্রিজের নিচে নদীর পাড় থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুন্নী আক্তার নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। মুন্নী আক্তার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকার খোন্দকার পাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে। নিহত শিশু আল ওয়াছি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার সাহাব উদ্দিন ও রুনা আক্তার দম্পতির ছেলে। গত সোমবার বিকাল ৪টার দিকে বাসার সামনে খেলা করার সময় অপহৃত হয় ওয়াছি।
নিহত ওয়াছির আত্মীয় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, সোমবার বিকালে বাসার বাইরে ঊঠানে খেলা করছিল ওয়াছি। এ সময় হঠাৎ বোরকা পরিহিত নেকাব বাধা এক নারী তাকে হাতে একটি চিপস ধরিয়ে দিয়ে কোলে তুলে নিয়ে যায়। পরে আশপাশ এলাকায় খোঁজাখোঁজির পরও তাকে না পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশের কাছে অবহিত করা হয়। পুলিশ তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে বাটাখালী ব্রিজ এলাকা থেকে মুন্নি আক্তার নামের এক নারীকে আটক করে।
তিনি আরো বলেন, অপহৃত হওয়ার পর থেকে আল ওয়াছিকে উদ্ধারে রাতব্যাপী পুলিশসহ আত্মীয়রা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু কোথাও হদিস মেলেনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাতামুহুরী ব্রিজের নিচে নদীর পাড়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় একটি শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেয়। তখন আমরা সকাল ১০টার দিকে পুলিশসহ গিয়ে নিহত ওয়াছির লাশ উদ্ধার করি।
কাউন্সিলর রেজাউল করিম আরও বলেন, লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মুখে স্কচ ট্যাপের গাম লাগানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেছে ঘাতকরা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চকরিয়া পৌর এলাকার সবুজবাগ আবাসিক এলাকা থেকে আল ওয়াসি নামের এক শিশুকে অপহরণের অভিযোগ পেয়ে সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত পুলিশের একাধিক টিম তাকে উদ্ধারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। মঙ্গলবার সকালে মাতামুহুরী ব্রিজের নিচে নদীর পাড়ে ওই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মুন্নী আক্তার নামে এক নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওসি আরও বলেন, কি কারণে শিশুটিকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে তা জানতে কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।