চকরিয়ায় অটোরিকশার যাত্রী বাবা-ছেলে নিহত

18

চকরিয়ায় বেপরোয়া গতির সৌদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুইযাত্রী বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। এসময় ওই অটোরিকশার আরো তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। হতাহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের নতুন মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নিহতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হেতালিয়া পাড়া গ্রামের ছাবের আহমদের ছেলে ও সিএনজি অটোরিকশা চালক নুরুল আলম প্রকাশ নুর খান (৩৫) এবং তার ছেলে মো. মঈনুল খান (৯)। আহতরা হলেন, নিহত নুরুল আলমের স্ত্রী মইকুন্নাহার (৩০), ছেলে মো. নকিব (৭) এবং আত্মীয় নুর আলম (২৭)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা জানায়, নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুর খান পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। মঙ্গলবার রাতে তিনি নিজের গাড়ি চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের নতুন মসজিদ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাস সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত এবং তিনজন আহত হন। হতাহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে এবং আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টিও জব্দ করা হয়।
ইন্সপেক্টর মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী আরও বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।