চকরিয়ার বরইতলী-মগনামা সড়কে গণডাকাতি

21

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়া উপজেলার বরইতলী একতা বাজার-মগনামা সড়কে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১০-১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ গণডাকাতি সংঘটিত করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নেয়। এ সময় ডাকাত দলের হামলায় ৪ জন যাত্রী আহত হন। গত মঙ্গলবার (ঈদের দিন) রাত পৌনে ৩টা থেকে সোয়া চারটা পর্যন্ত বরইতলী একতা বাজার-মগনামা সড়কের হারবাংছড়া ব্রিজের উপর এ গণডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দলের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানো উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক গ্রামের বাসিন্দা মামুন রশিদ বলেন, বুধবার ভোরে আমার ছেলে সোহেলের মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার কথা ছিলো। তাকে এগিয়ে দিতে মঙ্গলবার সেহেরী খাওয়ার পর আমরা একটি সিএনজি অটোরিকশা করে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে বরইতলী একতাবাজার সড়ক দিয়ে চিরিঙ্গা যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়িটি ভোররাত পৌনে তিনটার দিকে ওই সড়কের হারবাংছড়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে আমরা সশস্ত্র ডাকাত দলের কবলে পড়ি। এ সময় ১০-১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল আমাদের সবাইকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সশস্ত্র ডাকাতদলের মারধরে আমার ছেলে সোহেল (২২), চাচাতো ভাই নাছির উদ্দিন (৩৫), সিএনজি চালক আলী আকবর (৩০), ছেলের বন্ধু রুবেল (২২) আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আসার আগে থেকেই সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গণডাকাতি শুরু করে সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে আমরা সেখানে পৌঁছালে দেখি যে, আরো অন্তত ৫টি সিএনজি ও মোটরসাইকেলের ১০-১৫ জন যাত্রীর হাত-পা বেঁধে সড়কের একপাশে ফেলে রেখেছে সশস্ত্র ডাকাতদল।
গণডাকাতির শিকার ভুক্তভোগী মামুন রশিদ বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতির পর ভোরে আযানের শব্দ শুনে ডাকাতদল আমাদের ছেড়ে দেয়। অনেক অনুরোধের পর তাদের কাছ থেকে আমার ছেলের ভিসা ও পাসপোর্ট ফেরত পেয়েছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমি গণডাকাতির কোন খবর শুনিনি। তবে দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পেয়েছি, তারপরও বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।