ঘোষণা ছাড়াই গুঁড়ো দুধ আমদানি

10

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘোষণা ছাড়াই দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০ টন ইলেকট্রিক মোটর আমদানির চালানে ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি উচ্চশুল্কের নিডো গুঁড়ো দুধ নিয়ে আসে ঢাকার নওয়াবপুরের পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ইয়ার্ডে (এনসিটি) চিহ্নিত কন্টেইনারটি খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষার পর এ জালিয়াতি উদঘাটন করে কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্স (এআইআর) শাখা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য মতে, রাজধানীর নওয়াবপুরের পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস নামের প্রতিষ্ঠানটি ২০ টন ইলেকট্রিক মোটর আমদানির ঘোষণা দেয়। এরপর গত ১৩ মার্চ শিপিং এজেন্ট চট্টগ্রামের বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেডের মাধ্যমে দুবাই থেকে কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছে। কিন্তু ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আমদানিকারক এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। মূলত কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজরদারি এড়িয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিলেন আমদানিকারক। কিন্তু পণ্য চালানের ধরনের সঙ্গে অসামঞ্জস্য হওয়ায় চালানটির বিল অব লোডিং বøক করে নজরদারিতে রাখে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখা। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে কন্টেইনারটি বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ফোর্স কিপডাউন করে দেওয়া হয়। এরপর সেটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে দেখা যায়, কন্টেইনারে ইলেকট্রিক মোটরের ঘোষণায় আনা ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি উচ্চশুল্কের নিডো গুঁডোদুধ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্স (এআইআর) শাখার উপ কমিশনার সাইফুর রহমান বলেন, দুবাই থেকে চালানটি আসার পর ১৫ দিন ধরে খালাস না করে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে রেখে দেয়া হয়। মূলত কাস্টমসের নজরদারি এড়িয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিলেন আমদানিকারক। চালানে যে ধরনের পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারক, সেই চালান দুবাই বন্দর থেকে আসার কথা নয়। এ জন্য কন্টেইনারটি খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়ে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, কায়িক পরীক্ষার পর কন্টেইনারে ঘোষিত পণ্য ইলেকট্রিক মোটর মাত্র ২৭০ পিস পাওয়া গেছে। ঘোষণা বহিভর্‚ত ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি উচ্চশুল্কের নিডো ব্র্যান্ডের গুঁড়োদুধ পাওয়া গেছে। ইলেকট্রিক মোটরের শুল্কহার মাত্র ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে গুঁড়োদুধের শুল্কহার প্রায় ৯০ শতাংশ। এর মাধ্যমে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫৫ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অপচেষ্টা করেছিল বলে প্রমাণ হয়েছে।