ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ঢাকা থেকে ছুটে আসলেন এমপি মিতা

31

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি: 
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি’র জন্যে ঢাকা থেকে ছুটে আসলেন সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। সাগর উত্তাল থাকার পরেও সবকিছু উপেক্ষা করে শনিবার ভোরে সন্দ্বীপ এসেছেন এমপি। এসেই উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে ছুটে যান সারিকাইত বাংলা বাজার বেড়িবাঁধে। এবং মাইকিং করে বেড়িবাঁধের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য দ্বীপের ১১২ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও ৫০ টি স্কুল ভবন ও ৪ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করতে সিপিপি’র ৩০০০ স্বেচ্ছাসেবী ও যুব রেড ক্ৰিসেন্ট ইউনিটের সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে উপকূল এলাকার এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মানুষকে নিকটবর্তী শেল্টারে আশ্রয় দেয়া যাবে। সরকারি ও বেসরকারী সংস্কার মাধ্যমে দুর্যোগের সময় আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষদের শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। শুক্রবার রাতে  ৮ নং মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। উপকূলের কাছে বসবাসরতদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ৮ নং মহাবিপদ সংকেতের প্রভাবে সন্দ্বীপের আবহাওয়ায় ব্যাপক কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তাই মাইকিং সত্বেও আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে কাউকে দেখা যায়নি। শনিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার বিকেলে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্রাট খীসার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি সভায় সরকারী কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে সন্দ্বীপের ৭২ নং পোল্ডার উপকূলীয় বেড়িবাঁধের সারিকাইত, মাইটভাঙ্গা, পৌরসভা, রহমতপুর, আজিমপুর ও আমানউল্যার কয়েকটি পয়েন্টে দুর্বল অংশের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন উরিরচরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জন্য একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৪টি স্কুলভবন ও ২টি মুজিব কিল্লা কোনভাবে সংকুলনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদী-সাগর বেষ্টিত এবং ভাংগন কবলিত উরিরচরে জলোচ্ছাসের প্রভাবে ব্যাপক সম্পদ ও জীবনহানির আশংকা করছে সেখানকার স্থানীয়রা।