ঘরে বসে আয়

32

 

ঘরে বসে আয় করার যায় এটা প্রথম প্রথম বুঝে উঠতে পারিনি যখন দেখলাম আমাদের দেশে অনেক মেয়েরা করোনাক্রান্তিকালে নিশি রাত অবধি তাদের প্রডাক্ট নিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে মরিয়া। মেয়েরা সংসারের কাজকর্ম সেরে এ পেশাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দিব রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে যাতে সংসারে কিছু বাড়তি আয় হয়। ফলে স্বামী, সন্তান, ভাই বোন মায়ের ভরন পোষনের বাড়তি চাহিদা পূরন করতে পারে। অনলাইনে ব্যবসায় আবার নারীদের বাড়তি বিড়ম্বনাও কম নয়। নানা কমেন্টে নারীদের হেনস্তা করার জন্য কিছু পুরুষ লেগে থাকে।আপু আপনি এত মোটা কেন?আপু আপনার স্বামী আছে, আপু আপনাকে সুন্দর লাগে, আপনার টিপটা অনেক বড়! আরোও কত কি। তারা একবারও চিন্তা করেনা মেয়েগুলো রাত অব্দি আহার নিদ্রা ভুলে এত কষ্ট করে যাচ্ছে তাদের কাজে প্রশংসা করে আরো গতি বাড়িয়ে দিই।নাহ্ আমাদের গুণে ধরা সমাজ মেয়েদের প্রশংসা করতে জানে না। জানে শুধু মেয়েদের হেনস্তা করতে, ঘরে দাসীরা মতো খাটাতে। যাক মেয়েদেরও বোধশক্তি বেড়েছে, সাহস হয়েছে, কিছু আপনজন সাহস উদ্দীপনা বাড়িয়েছে যার ফলে মেয়েরা আজ স্বাবলম্বী হতে চলেছে। এতে পরিবার, সমাজ তথা দেশ সমৃদ্ধি হবে।অনলাইন ব্যবসায় মেয়েদের আয়ূবর্ধনের কথা বলছিলাম। যার সুফল আজ ঘরে ঘরে। অর্ডার করলেই ঘরে পৌঁছে দেয়। গাড়ি, সময়, যানজটে পরে সময় অপচয় হয় না। এখন ঘরে বসে প্রত্যেকটা জিনিস পাওয়া যায়। ফলে ঐসময়টুকু অন্যকাজে ব্যবহার করে নিজেকে আরোও গতিশীল করার সুযোগ আছে। একেকজন অনলাইন সেলার একেক নামে নিজেদের পেইজ খুলে তাদের পণ্যের গুণগত মানের দিকনির্দেশনা দেয়। যার ইচ্ছে বা পছন্দ সেই অর্ডার করে পণ্য নেয়।ইহা একটা মহা প্রাপ্তি ডিজিটাল যুগের জন্য। জাকারবার্গের বদৌলতে আজ সারাবিশ্বে এ মহাঅর্জন।এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে মানুষ অনেক কঠিন কাজকে সহজ করে নিয়েছে। বিশেষ করে সময়ের সাশ্রয় বেশি প্রতিফলিত হয়েছে। অনলাইন সেলার এখন গ্রæপ ভিত্তিক কাজ করে, মেলা করে বিভিন্ন জায়গা দখল করে তাদের পরিধি বিস্তার করে আসছে। পেইজ হোল্ডারেরা একেক নামে পরিচিত যেমন ‘নাওয়ারা’ মহুয়ার ঠিকানা ‘ফারহানা ফ্যাশন হাউস’ ‘সাদিয়া’স ক্রিয়েশন’ সানজিদা এসক্লুসিভ এটায়ার ‘ফ্যাশন নিস্তা’ আরবাকান’স কালেক্শন ইত্যাদি ইত্যাদি, আমি হাতেগোনা কটা নাম দিলাম আরো হাজারো পেইজের নাম আছে। আমি তাদের স্যালুট জানাই ঘরকন্যার পাশাপাশি আয় বর্ধক কাজ করার জন্য।