ঘন কুয়াশা, সঙ্গে বৃষ্টি থাকবে ‘আরও দুদিন’

11

পূর্বদেশ ডেস্ক

সারাদিনই আকাশের মুখভার, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে খুলনা ও যশোরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে; মাঘের প্রথম ভাগে এমন বৃষ্টিতে কমছে দিনের তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস বলছে, শৈত্যপ্রবাহ আপতত নেই, তবে কুয়াশার দাপট আর উত্তুরে হাওয়ায় শীতের অনুভূতি একটু বেশি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, এমন আবহাওয়া আরও দুয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল গতকাল রবিবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামি ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
শাহনাজ সুলতানা বলেন, ‘সোমবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকবে। আগামি ৩ দিনে রাতের তাপমাত্রা কমবে; বৃষ্টিও কমে আসবে। বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে ২৫ জানুয়ারির পর ফের তাপমাত্রা কমতে থাকবে’।
এবার মাঘের শুরুতে পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলে তিন-চার দিন ধরে। মাসের শেষ দিকে ফের শীতের প্রভাব বাড়বে বলে আভাস দেন এ আবহাওয়াবিদ।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে কোনোটিই তিন-চার দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন। খবর বিডিনিউজের