ঘটনা তদন্তে কমিটি ফের শাটল আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগ

4

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের (ভিসি) কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। চবির সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার ফের চবির শাটল ট্রেন আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের উপগ্রæপ কনকর্ডের নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।
চবির সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম জানান, ভিসি’র কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে গতকাল তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহব্বায়ক হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম। সদস্যরা হলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা ও সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমান। কমিটিকে অবিলম্বে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিটির আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠি আমি পেয়েছি। এতে আমাকে আহব্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করে দ্রæত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করব।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের শাটল ট্রেন আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ কনকর্ডের নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশনে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ট্রেনটি আটকে দেন।
জানা গেছে, গত সোমবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেট সভায় বিভিন্ন বিভাগে মোট ৩০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। সিন্ডিকেটের এ সভায় নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ না দেয়ায় তারা শাটল ট্রেন আটকে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া অবরোধকারী নেতাকর্মীরা সিন্ডিকেটে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িতদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও কনকর্ড গ্রæপের নেতা আবরার শাহরিয়ার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আসা ছাত্রলীগের মেধাবি ত্যাগী নেতাদের নিয়োগ না দিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কয়েকজন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তারা মেধাবী হয়েও ছাত্রলীগ করার কারণে নিয়োগ পায়নি। এগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রক্টর আমাদের সঙ্গে কথা তো বলেননি, উল্টো খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাই আমরা শাটল ট্রেন আটকে দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, শাটল ট্রেন আটকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। সাড়ে আটটার পর শাটল চলাচল শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার একই ঘটনায় উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও শাটল ট্রেন আটকে দেয় ছাত্রলীগের আরেক উপগ্রুপ একাকার।