ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ইউএনও

39

বুধবার বিকাল তিনটার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলার কুতুবিদয়া গ্রামে দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা (৩০) ও শ্রীকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা (২০) হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভিকটিম পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ পারভেজ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি ইউপি সংরক্ষিত সদস্য স্বপ্না তঞ্চঙ্গ্যা, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জয়তন তঞ্চঙ্গ্যা, সূর্যের হাঁসি ক্লিনিকের উপজেলা ম্যানেজার বাপ্পী তঞ্চঙ্গ্যা, দীঘলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা, সহকারি শিক্ষক সুদর্শন বড়–য়া, বিলাইছড়ি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিপ্লব বড়–য়া ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের বিটু চাকমা। পরিদর্শনের সময় ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের মানসিক ও পারিবারিক অবস্থাসহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান। গত ২৯ নভেম্বর, শুক্রবার ভিকটিমের বাগানে খুনি গরুর চড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুতুবদিয়ার লক্ষীজয় মার্মা (২৬) নামের ব্যক্তি ধারালো দা’দিয়ে কোপ মেরে দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও সহোদর ভাই শ্রীকান্ত তঞ্চঙ্গ্যাকে হত্যা করে। এছাড়া তাদের বড়বোন সোনাবালা তঞ্চঙ্গ্যা (৩৭) ও তার ছেলে প্রশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা (১২) এ দু’জনকেও কুপিয়ে জখম করে। যারা আজও চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ছিল গ্রাম পুলিশ। তার একটি ৮ বছরের মেয়ে সন্তান আছে এবং তার স্ত্রী ছিল গর্ভবতী। তার মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় ২ ডিসেম্বর ভোর রাত আনুমানিক পৌনে তিনটায় উপজেলা হাসপাতালে আর এক ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের পর ছেলের মা খাদ্য খেতে না পারায় তার বুকে দুধের অভাব দেখা দিয়েছে। এ জন্য শিশুটিকে কেমন বাড়তি খাদ্য দেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়ার জন্য ইউএনও পরামর্শ দেন এবং এতে সূর্যের হাঁসি ক্লিনিকের ম্যানেজার বাপ্পী তঞ্চঙ্গ্যাকে দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ জানান। পরিদর্শনের সময় ইউনও মৃত দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যার স্ত্রীর সদ্যজাত শিশুটির জন্য মশারি ও কাপড়-চোপড় বিতরণ করেন।