গ্রেনেড হামলার সদর দপ্তর ছিল কুখ্যাত হাওয়া ভবন

10

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করার পর তাদের প্রত্যক্ষ মদদে দেশে উগ্র ধর্মীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। সরকারি মদদে দেশকে একটি উগ্র জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেষ্টা করে। এর কিছুদিনের মধ্যেই দেশে হিজবুত তাহ্রীর, হরকাতুল জেহাদ, জেএমবিসহ প্রভৃতি উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী প্রকাশ্যে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে পদ্মার অন্তরালে অন্য আরেক ভয়াবহ পরিকল্পনা করেছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান। এ ভয়াবহ পরিকল্পনা হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নক্শা। এ পরিকল্পনার সদর দপ্তর ছিল কুখ্যাত হাওয়া ভবন। তারেক রহমান গং সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সে ভয়াবহ গ্রেণেড হামলায় ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে ২৩ জন নিহত হন এবং আহত হন প্রায় ৫০০ জন, যাদের মধ্যে ৩০০ জন কোনো না কোনোভাবে পঙ্গু হয়ে যান। আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাগ্যজোরে সে ভয়াবহ গ্রেণেড হামলা থেকে বেঁচে যান আমাদের প্রিয় নেত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর এর তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয় যার অন্যতম তারেক রহমান। এর বাইরে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৮ জনকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়। আমরা প্রত্যাশা করি আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিদেশে পালিয়ে থাকা দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দ্রুত দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৩জন নিহত ও আহতদের স্মরণে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে যুব সংগঠক এম আর আজিমের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র। গতকাল রবিবার বিকেলে নগরীর মুরাদপুরস্থ আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল খতমে কুরআন, নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহ্ফিল, আলোচনা এবং এতিম অসহায় ছাত্রদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ।
যুব সংগঠক এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ও নগর যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আসহাব রসূল চৌধুরী জাহেদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য হাবিব উল্লাহ নাহিদ, ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আছিফুর রহমান মুন্না, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য কাজী রাজেশ ইমরান, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম অঙ্কুর, যুব সংগঠক কাজী আলমগীর, আব্দুল জলিল বাহাদুর, মীর ইমরুল হাসান চৌধুরী রুবেল, জিল্লুর রহমান রায়হান, গোলাম ফোরকান, নগর ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল কবির সোহেল, ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য ফখরুল আলম রিপন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোছলেহ উদ্দিন আহমদ শিবলী, কফিল উদ্দিন আহমেদ, মাসুদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য আলী রেজা পিন্টু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আবু সাঈদ সুমন, সাবেক ছাত্রনেতা ও যুব সংগঠক আদনান মাহফুজ সজিব, মনিরাজ, এসইউ জোবায়ের, সাঈদ রহিম, ফরিদুল আলম, শরীফ হোসাইন, নওশাদ আলম মুন্না, ইঞ্জিনিয়ার শিবলী সাদেক সোহেল, সোহেল ইমরান, সানি দে, এপোলো বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি যথাক্রমে ফররুক আহমেদ পাভেল, একরামুল হক রাসেল, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী বাবু, সদস্য আবুল মনসুর টিটু, কবির আহমেদ, মিন্টু কুমার দে, নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাব্বির সাকির, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হুদা পাভেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরিফ রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় অভিমুন্য, ছাত্রনেতা মিলন দাশ, ছাত্রলীগের তানজিব আহসান জিবু, রাহাত ইমরান, তৌহিদুল আলম বাবু, সজিবুর রহমান, তৌরাব হোসেন রাফী, দেলোয়ার হোসেন, ফরহাদ হক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি