গ্রামের কোরবানির চামড়া শহরে ঢুকতে পারবে না তিন দিন

22

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির ঈদে নগরীর আশপাশের উপজেলায় জবায়কৃত পশুর চামড়া ঈদের দিন সহ মোট ৩ দিন শহর এলাকায় ঢুকতে পারবে না। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ের ম্যাধমে আলোচনা করে কোরবানির পশুর চামড়া উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে। নগরীতে দেড় থেকে দুইলাখ পশু জবাই হতে পারে। এসব পশুর বর্জ্য সঠিক সময়ে অপসারণ করতে ১ লাখ পলিথিন সরবরাহ করবে সিটি করপোরেশন। এসব পলিব্যাগে পশুর বর্জ্য ভর্তি করে নিদিষ্ট স্থানে রাখা হলে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীগণ তা অপসারণ করবে।
গতকাল বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নগরীতে কোরবানির জবাইকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণের এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মোহাম্মদ শহীদুল আলম জানান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার পশু কোরবানি হবে। এর মধ্যে মহানগরীতে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ পশু জবাই হতে পারে। নগরীতে কোরবানির জবাইকৃত পশুর চামড়া লবণজাত করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং কোরবানির দিন থেকে পরের দুইদিন পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে লবণজাত করে চামড়া সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে কোরবানির দিন উপজেলা থেকে নগরীতে কোনো কাঁচা চামড়া যেন প্রবেশ না করে সেই ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় কমিশানার ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যাদের অংশগ্রহণের মধ্যমে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। অনুরূপভাবে পুলিশের ডিআইজি ও পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ম্যাধমে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া, চামড়া মওজুদের স্থান নির্ধারণে সহযোগিতা করা ও চামড়া পরিবহনের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সভায় নগরীর যত্রতত্র কোরবানির পশুর চামড়া ও চামড়ার উচ্ছিষ্ট অংশ না ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতিও অনুরোধ করা হয়।
সিটি মেয়রের একান্ত সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপ-সচিব রুহুল আমিন, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, জেলা প্রশাসনের এডিএম মোছাম্মৎ সুমনী আক্তার, ডিআইজি প্রতিনিধি পুলিশ সুপার হাসান বারী নুর, মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. নুরুল আবছার ভূঁইয়া, বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মইনুল হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, মো. নুরুল আমিন, এসরারুল হক, চামড়া আড়তদার সমিতির আবদুল কাদের, আবুল কালাম আজাদ, বিসিকের প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিন, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দীক, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা, শেখ হাসান রেজা, মো. আলী আকবর, কল্লোল দাশ, আবু তাহের ছিদ্দীক প্রমুখ।