গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফের চুক্তি

40

একটি কৌশল নির্ধারণের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন সুরক্ষার মাত্রা আরও জোরদার করতে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ সম্প্রতি একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ইন্টারনেট শিশুদের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা তথ্য, শিক্ষা, ক্ষমতায়ন এবং অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে তাদের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। তবে অনুপযুক্ত উপকরণ ও আচরণের মাধ্যমে ইন্টারনেট শিশুদের সহিংসুা, নিগ্রহ ও অপব্যবহারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
‘বাংলাদেশে শিশুর অনলাইন সুরক্ষার মাত্রা বাড়ানো ও জোরদার করা’ শীর্ষক প্রকল্পটি ১২ লাখ শিশু-কিশোরকে অনলাইনে নিরাপদ থাকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। বাবা-মায়েদের সংবেদনশীল করে তোলাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য, কেননা ইন্টারনেটে শিশুরা কী ধরনের বিষয়বস্তুর সম্মুখীন হয় তা নিয়ে ভীতির কারণে অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধা দেয়। এটা শিশুদের ইন্টারনেট থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগকে ব্যাহত করে। শিশুদের অনলাইন সুরক্ষায় সহায়তা দিতে এই প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ বাবা-মা, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইউনিসেফ -এর ডেপুটি রিপ্রেসেনটেটিভ ডারা জনস্টন বলেন, আমরা আশা করি এই অংশীদারিত্ব শিশুর অনলাইন সুরক্ষা সম্পর্কে বাস্তবসম্মত পরামর্শগুলোর প্রাতিষ্ঠানিকরণ করবে এবং এগুলো বাংলাদেশে শিশুদের জন্য শিক্ষার গুরুত্বপ‚র্ণ অংশ হয়ে উঠবে। একটি সমন্বিত যোগাযোগ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে প্রকল্পটি ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে, যা অনলাইনে শিশুর সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে সহায়তা করবে এবং সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণে অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে সম্পৃক্ত করবে।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ওলে বিয়র্ন বলেন, ‘আমরা যেহেতু ডেটা যুগে প্রবেশ করেছি, তাই সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে অনলাইনে নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে আমাদের সমাজকে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রভাবিত করে তা বিশ্বময় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরকালে টেলিনর গ্রæপের ভাইস প্রেসিডেন্ট, (সাসটেইনইবিলিটি) মনীষা ডগরা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ইউনিসেফকে আমাদের বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত এবং একসঙ্গে আমরা শিশু অধিকার বিষয়ক ও ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিম‚লক বিভিন্ন প্রকল্পে সহযোগিণার ভিত্তিতে কাজ করছি। কীভাবে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় সে বিষয়ে শিশু, তাদের বাবা-মা ও লালন-পালনকারীদের সচেতন করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এবং ‘বি স্মার্ট, ইউজ হার্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে ২০১৮ সাল থেকে সহযোগিণার ভিত্তিতে কাজ করছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন ও টেলিনর। এই প্রকল্প দেশব্যাপী ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এবং ৭০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক, বাবা-মা ও লালন-পালনকালীদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি