গোলাগুলিতে প্রধান আসামি নিহত

49

আনোয়ারা উপজেলার একটি পাহাড় থেকে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি স¤প্রতি কোরিয়ান ইপিজেডের এক কারখানার কিশোরীকর্মীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম আব্দুন নুর (২৫)। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নে চায়না ইকোনমিক জোন সংলগ্ন হাজীগাঁও পাহাড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুন নুরের (২৫) বাড়িও আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, আব্দুন নুর ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তাদের একটি বাহিনীও আছে। সেই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সম্ভবত অর্ন্তকোন্দল অথবা ডাকাতির মালামালের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এতে আব্দুন নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। সকালে পাহাড়ে কৃষিকাজ করতে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে খবর দিলে আমরা গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করি।
তিনি বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধারের পর সেটি সা¤প্রতিক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আব্দুন নুরের বলে আমরা শনাক্ত করেছি।
ওসি জানান, আব্দুন নুরের বিরুদ্ধে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা আছে। গত জানুয়ারি মাসে এবং পরে রমজানে দু’টি ছিনতায়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৮ সালে ডাকাতির অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলার আসামিও সে।
ধর্ষণের শিকার আনুমানিক ১৫ বছর বয়সী কিশোরী কোরিয়ান ইপিজেডের একটি জুতার কারখানায় কাজ করে। চন্দনাইশ উপজেলার বাড়ি থেকে প্রতিদিন সে কারখানায় আসা-যাওয়া করত।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি যাবার পথে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। মেয়েটিকে আনোয়ারা থানার চৌমুহনীর অদূরে কালার মার দিঘি এলাকায় অন্ধকারের মধ্যে রাস্তার ওপর মুমূর্ষু অবস্থায় পান স্থানীয়রা। তার কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। ভাইসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের জানান, চোখ বেঁধে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় কিশোরী ভাই বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাতনামা চার জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার দুই আসামি কিশোরীকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মামুন (২০) এবং যাত্রী হেলাল উদ্দিনকে (৩০) শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।