‘গোবরে কোভিডমুক্তি’ সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

14

কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা মিলবে, এই বিশ্বাস থেকে ভারতের কোথাও কোথাও শরীরে গোবর মাখার যে চর্চা চলছে সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন দেশটির চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই পদ্ধতির কার্যকারিতার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তো নেই-ই, উল্টো এর মাধ্যমে অন্যান্য রোগ ছড়ানোর ঝুঁকিও আছে, বলছেন তারা। কোভিড মহামারীতে বিপর্যস্ত ভারতে এর মধ্যেই সোয়া দুই কোটির বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে; ভাইরাস দেশটির প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্যের অনেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে কিংবা কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হতে সাহায্য করবে এই বিশ্বাসে সপ্তাহে একদিন করে বিভিন্ন ‘গো আশ্রমে’ হাজির হয়ে নিচ্ছেন ‘গোবর চিকিৎসা’।
হিন্দু ধর্মে গরুকে প্রাণ ও পৃথিবীর পবিত্র প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গোবরের ঔষধি ও জীবাণুরোধী বৈশিষ্ট্য আছে বলে ধারণা এই বিশ্বাসীদের। “আমরা দেখছি, এমনকি চিকিৎসকরাও এখানে আসছেন। তারা বিশ্বাস করেন, এই চিকিৎসা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং তারা কোনো ধরনের ভয় ছাড়াই রোগীদের কাছে যেতে ও তাদের পরিচর্যা করতে পারবেন,” বলেছেন একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সহযোগী ব্যবস্থাপক গৌতম মনিলাল বরিষা। তার দাবি, শরীরে গোবর মাখার এ চর্চা গত বছর তাকে কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি রাস্তার যে পাশে অবস্থিত তার উল্টো দিকেই ওষুধনির্মাতা কোম্পানি জাইডাস ক্যাডিলাসের সদরদপ্তর, যারা নিজেরাই কোভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন আনার কাজ করছে। রয়টার্স জানিয়েছে, গোবর ও গরুর প্রস্রাবের মিশ্রণ গায়ে মেখে শুকানোর অপেক্ষায় থাকার সময় এই ‘চিকিৎসা’ গ্রহণকারীরা ‘গো আশ্রমের’ গরুগুলোকে জড়িয়ে ধরেন বা নানান কায়দায় সম্মান জানান ও যোগব্যায়াম করেন। শুকিয়ে যাওয়া মিশ্রণ পরে দুধ বা ঘোল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়।