গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিলো পুলিশ

27

রাউজান ও সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুলিশেরর মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদের আহবানে সারা দেশের ন্যায় রাউজানে গৃহহীন অসহায় দরিদ্র পরিবার পেল পাখা ঘর। রাউজানের কেউটিয়াস্থ কুলাল পাড়া সড়কের পাশে ২ শতক জমি ক্রয় করে তার উপর পাকা বাড়ির চাবি ও দলিল পেয়ে মহাখুশি হতদরিদ্র নাজম। ঘর পাওয়া ভূমিহীন মহিলা হচ্ছেন রাউজানের ছত্রপাড়া এলাকার অসহায় নাজমা আকতার। সে একই এলাকার আকতার হোসেনের স্ত্রী ও সাহেব মিয়া এবং রোকেয়া বেগমের মেয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের নির্মানকৃত এসব ঘর উদ্বোধনের পর গত ১১ এপ্রিল নাজমা আকতারের হাতে গৃহটির জায়গার দলিলসহ হস্তান্তর করেন রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন। এসময় থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেবশীলসহ অনেকে।
অন্যদিকে, বিয়ের পর স্বপ্ন ছিল কোন এক দিন নিজের একটি ঘর হবে। কিন্ত অল্প বয়সে স্বামী মারা গেল। আর সেই স্বপ্নটিও ভেঙ্গে গেল। স্বামী মারা যাওয়ার পর স্বপ্নের কথা আস্তে আস্তে ভুলে গেলাম। অবশেষে আরেকটা স্বপ্নের মত বাংলাদেশ পুলিশ আমাকে ঘর দিবে। প্রথমে কোনভাবে বিশ^াস করতে পারছি না। সেই স্বপ্নের ঘর আমাকে দিল পুলিশ। চাবিও বুঝিয়ে দিল। এখন থেকে এই ঘরের মালিক আমি। সত্যি আনন্দে খুব কান্না আসচ্ছে। এই ঘরে আমি ও আমার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করবো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে পাকা ঘর পেয়ে এভাবেই নিজের অনূভূতি প্রকাশ করছিলেন সীতাকুন্ডের স্বামী হারা মনোয়ারা বেগম (৭৪)। স্থানীয়রা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে মাহফুজা বেগম (৪২) কে নিয়ে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে খাস জমিতে নির্মিত সালেহা বেগম নামের এক নারীর ঘরে আশ্রিতা হিসাবে থাকতেন মনোয়ারা বেগম। সারাদিনে ভিক্ষা করে যা পেত তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে মা-মেয়ের দিন কাটত। একমাত্র ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিন মজুরের কাজ করে। তিনিও বিয়ে করার পর স্ত্রী-পুত্রসহ অন্যত্র আলাদা বাসা নিয়ে বসবাস করেন। সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, বাংলাদেশ পুলিশের সহায়তায় দেশব্যাপী প্রতিটি থানায় নির্মিত বাড়িগুলো গত রবিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ির চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে মনোয়ারা বেগমের হাতে। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণাংশের আকিলপুর গ্রামে ২ শতকের কিছু বেশি (২.২) জায়গা খরিদ করে তাতে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। বৈদ্যুতিক সংযোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও সুপেয় পানির জন্য চাপাকল স্থাপন করা হয়েছে।