গুণীদের হারিয়ে যাওয়া দেশের অপূরণীয় ক্ষতি

11

চট্টগ্রাম একাডেমির আয়োজনে সাহিত্যিক মুক্তিযোদ্ধা বেগম মুশতারী শফী, সাহিত্যব্যক্তিত্ব অরুণ দাশগুপ্ত, বঙ্গবন্ধু উপাধির প্রণেতা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, গবেষক সাখাওয়াত হোসেন মজনু ও গবেষক আহমদ মমতাজ পাঁচ গুণী ব্যক্তিত্বকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়। স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ পাঁচ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন দেশের আলোকবর্তিকা, বিবেকের বাতিঘর। নারী প্রগতির আন্দোলনে, সাহিত্যের আলো বিতরণে, সমাজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারণে, দেশপ্রেমে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে এদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান অনস্বীকার্য। এদের রেখে যাওয়া কর্মকীর্তি, চিন্তা-চেতনা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এদের আদর্শ-চরিত্র, নৈতিকগুণাবলি অনুসরণের ও অনুকরণের আহব্বান জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে এদের গৌরবগাথা তুলে ধরতে হবে। তাহলে সমাজ, দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। এ ধরনের গুণী ব্যক্তিদের হারিয়ে যাওয়া মানে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি। একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে গত ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘স্মরণে শ্রদ্ধায় প্রয়াত পাঁচ গুণী’র স্মরণ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী।
আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর রীতা দত্ত, অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম, প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, কবি-প্রাবন্ধিক মর্জিনা আখতার, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক-সাংবাদিক বিপুল বড়ুয়া, একাডেমির পরিচালক এস এম আব্দুল আজিজ, সংগঠক জাহাঙ্গীর মিঞা, সংগঠক-কবি শারুদ নিজাম, প্রাবন্ধিক মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, ছড়াকার আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, লেখক মহসীন চৌধুরী।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন কবি আনন্দ মোহন রক্ষিত, প্রাবন্ধিক শাকিল আহমদ, শিশুসাহিত্যিক আজিজ রাহমান, মোহাম্মদ মাজহারুল হক, কবি-সাংবাদিক আবুল কালাম বেলাল, প্রাবন্ধিক নিজামুল ইসলাম সরফী, গল্পকার রুনা তাসমিনা, গল্পকার শিপ্রা দাশ, কবি লিপি বড়ুয়া, ড. মোশারফ হোসেন, কলামিস্ট শংকর প্রসাদ দেব, নাট্যকার কাসেম আলী রানা, শিক্ষক তাসমিনা সুলতানা মিলি, তৌফিকুর রহমান সুমন, কবি হৃদয় হাসান বাবু, বাবুল কান্তি দাশ, মির্জা মোহাম্মদ আলী, ফারহানা ইসলাম রুহি, মর্জিনা হক লিপি, নাহিদা আকতার, আসিফ ইকবাল, এম কামাল উদ্দিন প্রমুখ।