গুঁড়িয়ে দেয়া হলো পাকা ঘরসহ ৪৬ স্থাপনা

101

টেকপাড়া ও মরিয়মবিবি খালে অভিযান পরিচালনা করে ৪৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গতকাল বুধবার সকালে সিডিএ’র স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ফিশারিঘাটের টেকপাড়া ও মরিয়মবিবি খালে বুধবার সকালে অভিযান শুরু করে সিডিএ। জলাবদ্ধতা নিরসন মেগাপ্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় পাকা, কাচা-পাকা ও টিনশেড ঘরসহ ৪৬টি অবৈধ স্থাপনা।
সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বলেন, বুধবার সকালে টেকপাড়া খালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। টেকপাড়া খাল ও মরিয়মবিবি খালের ৪৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সিডিএ’র হিসেব মতে, নগরীর ৫৭টি খালের মধ্যে ১৩টি খালের ওপর ১৫৭৬টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে সেমিপাকা ঘর থেকে শুরু করে বহুতল ভবনও রয়েছে। প্রধান ১৩টি খালের মধ্যে চাক্তাই খাল, মরিয়মবিবি, নোয়াখাল, রাজখালী-২ খাল, খন্দকিয়া খাল, বির্জা খাল, মহেশখালী খাল, টেকপাড়া খাল, গয়নাছড়া খাল, ত্রিপুরা খাল, বামনশাহী খাল, ডেমখালী খাল, মহেশখালে ক্রমান্বয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগাপ্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।