‘গীতাপাঠ মানুষকে অপকর্ম থেকে বিরত রাখে’

76

স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১০তম শুভ আবির্ভাব উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার জেএমসেন হলে শুরু হয়েছে। এদিন মাতৃসম্মেলনে প্রধান অতিথি চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের সহধর্মিনী মিসেস রুনা ব্যানার্জি বলেছেন, ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ মানুষকে সত্য সনাতন সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূরীভূত হয়। দীর্ঘ বছর ধরে সকল ধর্মের লোকজন সহাবস্থানে থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বসবাস করে আসছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সা¤প্রদায়িকতার জায়গা বাংলাদেশে নেই। অস¤প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলো বাংলাদেশ। এখানে মঠ-মন্দির শুধু ধর্ম চর্চার সাধনা করে না। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। ধর্মবোধ মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। গীতাপাঠ মানুষকে নানান অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। সুপ্রেমা সিকদারের সভাপতিত্বে ও শংকর মঠ-মিশন মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাতৃসম্মেলনে আশীর্বাদক ছিলেন আন্তর্জাতিক শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যক্ষ বিজয় ল²ী দেবী, অধ্যাপিকা মৃণালিনী চক্রবর্তী ও অধ্যাপিকা পপি সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শংকর মঠ ও মিশন চট্টগ্রাম মহানগর উৎসব উদযাপন পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা শ্রীমতি বৃষ্টি বৈদ্য। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রফেসর কেশব কুমার চৌধুরী, শ্রীমতি অনিতা ঘোষ, দিলীপ শীল, অজিত কুমার শীল, রনজিত কুমার শীল প্রমুখ।
এছাড়া উৎসব উপলক্ষে বিশ্বশান্তি শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞ, ধর্ম মহাসম্মেলন ও ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শংকর মঠ ও মিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখা দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এর আগে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান। শংকর মঠ ও মিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উপদেষ্টা রনধীর ঘোষ রায় এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এতে আশীর্বাদক ছিলেন সীতাকুন্ড শংকর মঠ ও মিশনের জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। মহানগর শাখার সহ-সভাপতি সমীর কান্তি পালের সভাপতিত্বে ও দিলীপ কুমার শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গীতা পাঠ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগীশিক কেন্দ্রীয় সংসদের প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট তপন কান্তি দাশ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শংকর মঠ ও মিশন মহানগর উৎসব উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা মাস্টার অজিত কুমার শীল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লায়ন ডা. নারায়ণ চন্দ্র নাথ। বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণ কল্পে আলোচনা, ছাত্রবৃত্তি, দাতা, আজীবন, পৃষ্ঠপোষক সদস্য ও যুব ভ্রাতাদের আলোচনা অনুষ্ঠান। শংকর মঠ ও মিশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুলাল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মঠের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর কেশব কুমার চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীঅরবিন্দ সোসাইটির সদস্য রতন ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন লায়ন দিলীপ কুমার শীল, কাজল কান্তি পাল, অজিত কুমার শীল, উত্তম মহাজন নব, শিব শংকর দেব, কাজল কান্তি পাল, মিন্টু পাল লিটু, সুজিত পাল, পলাশ রাহা, রুপেশ রায়, উজ্জ্বল পাল, সৈকত মহাজন, লিটন পাল, মিটু কুমার শীর, আশীষ পাল, নুপুর দাশ প্রবীর, লিটন কুমার পাল, সুবল কান্তি দাশ ও উত্তম শীল প্রমুখ। ধর্ম মহাসম্মেলন ও বিশ্ব শান্তি গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের মহাত্মা মহারাজবৃন্দ ও মঠের ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। খবর বিজ্ঞপ্তির