গাজায় চিকিৎসকদের বিবস্ত্র করে নির্যাতন

6

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বিবিসিকে বলেছেন, গত মাসে হাসপাতালে অভিযানের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা তাদের চোখ বেঁধে, আটক করে, বিবস্ত্র রেখে, বারবার মারধর চালায়। গাজা উপত্যকার নাসের হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ আবু সাবহা জানান, তিনি এক সপ্তাহ আটক ছিলেন। তার ওপর মুখবন্ধনী পরা কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হতো। ইসরায়েলি এক সেনা তার হাত ভেঙে দিয়েছিল। তার সাক্ষ্য আরও দুই চিকিৎসকের সঙ্গে মিলে যায়। ওই দুই চিকিৎসক ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি।
তারা বিবিসিকে বলেন, তাদের অপমান করা হয়েছিল। সঙ্গে মারধর, ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখা এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটু গেড়ে বসে থাকার মতো নির্যাতনও তাদের ওপর করা হয়। তারা বলেন, মুক্ত হওয়ার আগে তারা কয়েকদিন আটক ছিলেন। অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) সরবরাহ করা হলে তারা সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি কিংবা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেনি। তবে অভিযান চলাকালে চিকিৎসকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমন অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে।
আইডিএফ বলেছে, বন্দিদের সঙ্গে যেকোনো দুর্ব্যবহার তাদের আদেশের পরিপন্থী এবং তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ১৫ ফেব্রæয়ারি গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে হাসপাতালে অভিযান চালায় আইডিএফ। তাদের দাবি, গোয়েন্দা তথ্য ছিল, হাসপাতালটিতে হামাস যোদ্ধারা ছিলেন। আইডিএফ আরও বলে যে, হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে যাদের জিম্মি করে, তাদের সেখানে রাখা হয়েছে। জিম্মিদের কয়েকজন প্রকাশ্যে বলেন, তাদের নাসের হাসপাতালে রাখা হয়।