গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

4

পরদেশ ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৫ জনকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরদিন শনিবার ফের অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে হামলে পড়ে দখলদার বাহিনী।
প্রতিবাদে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালানোর দাবি করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ। দলটির সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেডের তরফে এমন দাবি করা হয়েছে। তেল আবিব, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, আশদাদ, বীরসেবা, আশকেলন, নেতিভত ও ডেরতে ৬০টি রকেট নিক্ষেপের দাবি করেছে আল কুদস ব্রিগেড।
গাজার ক্ষমতাসীন দল হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহুম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকেই এই উত্তেজনা শুরু করা হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) সর্বশক্তি দিয়ে গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণকে রক্ষা করবে এবং প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখবে।’ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, ‘ইসরায়েলের দক্ষিণে রুটিন জীবন পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা অভ্যন্তরীণ স্থিতিস্থাপকতা এবং বাহ্যিক শক্তি নিয়ে কাজ করবো। আমরা সংঘাত চাই না। তবুও প্রয়োজনে আমরা আমাদের নাগরিকদের রক্ষায় দ্বিধা করবো না।’
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় চলমান উত্তেজনা বন্ধে ‘সব পক্ষকে’ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফের বোরেলের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজা এবং আশপাশের ঘটনায় নিয়ে ইইউ গভীর উদ্বিগ্ন। ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিজ দেশের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। কিন্তু বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে হবে।