গলার ফাঁস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

66

অ্যাড. সালাহ্উদ্দিন আহমদ চৌধুরী লিপু

গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। আর ১৯৭৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরম্ভ হয়। এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশের বৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উদ্যোগে সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠন হয়। এই সংস্থা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে দেশের ৪৯১ উপজেলায় ৮৭ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিতরণ করে আসছে। সারাদেশে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২ কোটি।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, পটিয়ার আওতায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলায় ৭১৪৯ কি.মি. বিতরণ লাইনের মাধ্যমে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৭ জন, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, রাউজানের আওতায় উত্তর চট্টগ্রামের ৩ লাখ ৩৬ হাজার এবং চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩, সীতাকুÐের আওতায় উত্তর চট্টগ্রামের ২ লাখ ৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সরাাদেশের পল্লী অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা করেছিল তা সিকিভাগও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের সকল জনগণকে গুণগত মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হলেও বরং এ সেবা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য ও জনদুর্ভোগের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই সমিতি এখন জনগণের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাধারণ জনগণের কাছে এখন মহা আতঙ্কের নাম। তাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাম শুনলে সাধারণ মানুষ আঁতকে উঠে। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ জনগণ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ‘ইষ্ট ইন্ডিয়া’ কোম্পানির সাথে তুলনা করেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সীমাহীন শোষণ, লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এখন চরমে উঠেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারি দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা বিদ্যমান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা পূর্ব হতে ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ, মিটার ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলের সাথে বাড়তি দিয়ে আসছে। তার ওপর দীর্ঘদিনের ভূতুড়ে বিলের খড়গ। এখন গ্রাহকদের জীবন নাভিশ্বা^াস হয়ে উঠেছে। মার্চ, এপ্রিল, মে তিন মাসের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের কাছে ভূতুড়ে বিল প্রদান করলে আনোয়ারা সহ দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। গ্রাহকরা এই অশান্তির বিল নিয়ে ভীষণ ভোগান্তিতে পড়েছে। এসব বিদ্যুৎ বিলের সাথে মিটার রিডিংয়ের ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের অশান্তির বিল সংক্রান্তে অভিযোগের স্ত‚প হয়েছে, কিন্তু এসব অভিযোগের কোন সুরাহা হচ্ছে না। করোনা কারণ দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গড় বিল করেছে বলে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। অথচ গড়বিল করার কোন বিধান নেই। এসব ভৌতিক বিল ঠিক করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে গেলে তারা উদ্বৃত্ত বিল পরের মাসে সমন্বয় কারার আশ্বাস দিয়ে গ্রাহক হতে বিদ্যুৎ বাড়তি বিল আদায় করছে। গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে অফিস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকিও প্রদান করছে। ফলে গ্রাহকরা হয়রানির ভয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে বাধ্য হচ্ছে। যা ইতিমধ্যে পত্রিকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূতুড়ে বিল ও বিভিন্ন দুর্নীতির সংবাদ দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। গ্রামের মানুষের সীমিত আয়। তাছাড়া করোনাকালিন সময়ে মানুষে তেমন উপার্জন নেই। এই দুঃসময়ে বাড়তি বিলের বোঝা নির্মম পরিহাস ব্যতীত আর কি হতে পারে। শুধু করোনাকালিন সময়ে নয় অন্যান্য স্বাভাবিক সময়েও আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার বাড়িতে বাড়িতে মিটার পরিদর্শনে কথনও যান না। মিটার রিডারগণ কথনও কারো বাড়িতে মিটার পরিদর্শনে গিয়েছে তারাও কোন প্রমাণ নেই। মিটার পরিদর্শন ব্যতিরেকে অফিসে বসে ভূতুড়ে বিল প্রস্তুত করে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করে গ্রাহকদের দীর্ঘদিন যাবৎ ভীষণভাবে হয়রানি করে আসছে। যা আমি নিজেই ভোক্তভোগি। প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে এসে প্রাচীন পদ্ধতির মিটার রিডিং কখন দূরীভূত হবে।
এখানে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংক্ষিপ্ত পরিসরে কিছু দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে হলো। আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আনোয়ারা উপজেলায় ৮৪ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর জোনাল অফিস রয়েছে উপজেলা সদরে, বটতলীতে রয়েছে এরিয়া অফিস এবং পারকি ও হাইলধরে রয়েছে অভিযোগ কেন্দ্র। আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ সমস্ত অফিস যেন দুর্নীতির আখড়া, এসব অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা অবৈধ টাকার বিনিময়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেন। যেমন-কারো জমি বা ভিটির উপরে পূর্ব থেকে স্থিত পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক তার ও খুটির কারণে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা দালান, ঘরবাড়ি, দোকান ইত্যাদি নির্মাণে অসুবিধা হলে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিশাল অঙ্কের অবৈধ টাকার বিনিময়ে কৌশলে বৈদ্যুতিক তার ও খুটি ঘুষ প্রদত্ত ব্যক্তির জমি হতে অপরের জমি উপর সরিয়ে দিচ্ছে। এসব অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা অবৈধ টাকার বিনিময়ে আবাসিক, সেচযন্ত্রে ঘুষের বিনিময়ে প্রদান করে। বড় বড় কল কারখানায় অবৈধ সংযোগ প্রদান করে সীমিত পরিমাণে বিল করেন। সে অবৈধ বিলের বোঝা তারা সাধারণ গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেন। তাছাড়া মৎস্য ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আনোয়ারার রায়পুর ও জুঁইদÐি ইউনিয়নের উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক বরফকল গড়ে উঠেছে।
ইলিশ বা মৎস্য মৌসুমে এসব এলাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ঐ এলাকার বরফকল মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পল্লী বিদ্যুতের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন। ফলে ঐ সমস্ত এলাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সচল রাখার কারণে উপজেলার অন্যান্য এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। তাছাড়া আনোয়ারা জোনাল ও বটতলী এরিয়া অফিসে সর্বদা বিভিন্ন দালাল ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এসব দালাল বা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাধ্যমে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করলে বৈদ্যুতিক মিটার ও বিদ্যুৎ সংযোগ অতি দ্রæত সময়ে পাওয়া যায়, অন্যথায় বছরের পর বছর ঘোরাঘুরি করলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় না। গ্রাহকরা যে কোন বিষয়ে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করলে কোন প্রতিকার পান না। এখানে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।
আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় তা প্রকাশিত হলে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টনক নড়ে। তৎপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন তারিখে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস হতে সমিতির এ,জি,এম ও একজন প্রকৌশলী তদন্তে আমার গ্রামের বাড়িতে গেলে সেখানে আমাকে উপস্থিত না পেয়ে তারা আমার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। আমার অভিযোগের ব্যাপারে তারা জানতে চাওয়া হলে আমি আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূতুড়ে বিল, ঘনঘন লোডশেডিং ও নানবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বলি, তখন তারা আমার অভিযোগের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাদের কথায় মনে হলো তরা ধোয়া তুলসীপাতা। কর্মর্তারা শুধু অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্থ করলেন ও তাদের অফিসে আমাকে চায়ের আমন্ত্রন জানিয়ে তারা আমার বাড়ি প্রস্থান করেন।
বিদ্যুৎ আজ মানুষের জীবন যাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ, এবং দেশের উন্নয়নে প্রধান চালিকা শক্তি। আনোয়ারা উপজেলা সহ দেশের অধিকাংশ উপজেলা সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। গত ১০ বছরে দেশে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সুফল পাচ্ছে না গ্রাহকগণ। সরকারি তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৩ হাজার ৪৩৬ মেগাওয়াট। দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১২ হাজার ৮২৩ মেগাওয়াট। সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ৭০৭৫ মেগাওয়াট, আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ প্রাপ্তি হলো ৭০৫১ মেগাওয়াট। এ বছরের ২৪ জুন তারিখের হিসেব মতে, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ০৭০ মেগাওয়াট। সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ৬৯১৫ মেগাওয়াট এবং সরবরাহকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ ৬৮৭৭ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ঘাটতি যৎসামান্য। এই সামন্য ঘাটতিতে এত ঘনঘন হওয়ার কথা নয়। তারপরও বর্তমানে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার পরও প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছে। লোডশোিডং কোন অবস্থায় বন্ধ হচ্ছে না। গ্রামীণ জনপদে লোডশেডিংয়ের অবস্থা অত্যন্ত শোষণীয়। সেখানে অধিকাংশ সময়ে বিদ্যুৎ থাকেনা। একটু জোরালো বাতাস বইতে থাকলে সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যায়। তাছাড়া দেশে কাল বৈশাখী, ঘূর্ণিঝড় হলে ১/২ সাপ্তাহেও বিদ্যুৎ মিলে না। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, ব্যবসা, কল-কারখানা ও মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূতুড়ে বিল, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গ্রাহক সমাজ ফুঁসে উঠেছে। এখন তাদের প্রশমিত করা খুবই প্রয়োজন। বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শোষণ, নিপীড়ন থেকে পরিত্রাণ চায়। অতীতে বিদ্যুৎ খাতে অনিয়ম, নৈরাজ্য, হয়রানি, ভোগান্তির বিরুদ্ধে গনআন্দোলনের নজির এদেশে আছে। সুতরাং এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হোক আমরা প্রত্যাশা করিনা। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সরকার বিব্রত করার জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো উদ্দেশ্য প্রণেদিতভাবে এসব ভূতুড়ে বিল করছে। গ্রাহককূলের ধারণা, বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি কুচক্রী মহল সরকার ও জনগণকে মুখোমুখি করার পাঁয়তারা করছে। যে বা যারা হোক তাদেরকে অবিলম্বে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। মাননীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আদায়কৃত এসব ভূতুড়ে বিলের টাকা গ্রাহককে ফেরৎ দেয়ার ব্যবস্থা করুন। বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ প্রতিকার ও সুফল পেতে চায়। জানা যায়, গত ২৫ জুন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আগামি ৭ দিনের মধ্যে একটি টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন টাস্কফোর্স দায়িদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেটি দেখার জন্য গ্রাহককূল অধীর আগ্রহে আছেন। অনুষ্ঠেয় সভায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্তে দুঃখ প্রকাশ করে দায় এড়িয়ে যান, কিন্তু জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে তারা এর দায় ্এড়িয়ে যেতে পারেন না। পরিশেষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সীমাহীন শোষণ, লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা খতিয়ে দেখে ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রী ও দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এদের অনৈতিক কর্মকাÐে সরকারের সাফল্য ম্লান হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে প্রকৃত সেবা ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হোক।
লেখক : রাজনীতিক ও কলামিস্ট