নিজস্ব প্রতিবেদক
বাকলিয়া এক্সেস রোড প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ইতোমধ্যে চিহ্নিত ‘মতিন সিটি’ নামে সেই ১০ তলা ভবনের কথা উঠে আসল চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সামনে গণশুনানীতে। পশ্চিম বাকলিয়ার দেওয়ান বাজার ও মৌসুমী আবাসিক এলাকার লোকজন স্থানীয় দুর্ভোগ নিয়ে গণশুনানীতে অংশ নিলে উঠে আসে এ ভবনের কথা।
দুর্ভোগ নিয়ে তারা একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন জেলা প্রশাসকের কাছে। মোহাম্মদ ইকবাল নামে একজন অন্যায়ভাবে বাকলিয়া মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ২৮ শতক সরকারি জমি ও সরকারি নালার জায়গা নিজের জায়গার সাথে অন্তর্ভুক্ত করে ৬টি আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে নেয় বলে ডিসির কাছে দেয়া লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়। নালা/নাসি ভরাটের মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে বর্ষায় এ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এতে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় সরকারি খাস জমি উদ্ধার ও নালার প্রতিবন্ধকতা দূর করে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানান স্থানীয়রা।এসময় জেলা প্রশাসক তাদের কথা শুনেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, সরকারি জায়গা যেখানেই থাকুক, যার দখলেই থাকুক উদ্ধার করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
গণশুনানীতে অংশ নেয়া মোহাম্মদ হোসেন জানান, ‘আমরা আমাদের দুর্ভোগের কথা বলেছি জেলা প্রশাসককে। উনি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’