গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে কাজে পাঠান

22

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী দিতে প্রতিষ্ঠান মালিকদের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা। প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, গণমাধ্যমকর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রী দিয়ে তারপর কাজে পাঠানোর জন্য। তা না করা হলে করোনায় আক্রান্তের সুযোগ থাকে।”
মন্ত্রী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসক-নার্স, পুলিশ, সেনাবাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী ও দায়িত্বপালনরত সবাইকে অভিনন্দন জানান ও সম্প্রতি প্রয়াত তিন সাংবাদিকের আত্মার এবং আক্রান্ত সাংবাদিকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “সকল গণমাধ্যমের কর্মীদের জন্য বিএসএমএমইউতে করোনা টেস্টে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ বা অগ্রাধিকার সুবিধার জন্য আমি অনুরোধ করেছিলাম, বিএসএমএমইউ তা কার্যকর করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের করোনা চিকিৎসায় শয্যা সংরক্ষণে সাংবাদিকদের অনুরোধে অন্য একটি হাসপাতালেও কথাও বলব।”
ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম বক্তব্য রাখেন।
করোনাভাইরাসে প্রত্যেক মৃত্যুর জন্য সরকার দায়ী- বিএনপির এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি অপেক্ষায় আছি, বিএনপি নেতারা কখন বলবেন যে, করোনাভাইরাসের জন্যও সরকার দায়ী।”
অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রী বলেন, “সমগ্র বিশ্ব আজ করোনায় থমকে গেছে। ইউরোপ-আমেরিকায় তারা প্রাণহানি ঠেকাতে পারছে না। বিশ্বে এ প্রাদুর্ভাব দেখার সাথে সাথেই আমাদের সরকার নানা ব্যবস্থা নেয়ায় অনেক উন্নত ও প্রতিবেশী দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালো আছে। কিন্তু তাই বলে আমরা বসে নেই, যেকোনো পরিস্থিতি হতে পারে, তা মাথায় রেখেই সরকার সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে।
“সরকারের এসকল কর্মকাণ্ডে দিশেহারা হয়ে বিএনপি কিছু ফটোসেশন করছে এবং সেখানে নানা কথাবার্তা বলে সরকারের কাজগুলোকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। আসলে রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ অনেক বিএনপি নেতাদের কথা শুনে সেগুলো উদভ্রান্তের প্রলাপের মতো মনে হয়।”