গণকমিশনের কোন ভিত্তি নেই, বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা

28

পূর্বদেশ ডেস্ক

গণকমিশনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ১১৬ জনকে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ আখ্যা দেওয়া গণকমিশনের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কোন তথ্যের ভিত্তিতে এই শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছে, তাও আমার জানা নেই।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গণকমিশন কী লিখেছে জানেন না উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা যাদের নামে সন্ত্রাস কিংবা দুর্নীতির দায়ভার দিচ্ছে সেটা আমি দেখিনি। তাই এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।
মন্ত্রী বলেন, এর আগে তারা ২০০৩ সালে সন্ত্রাস নামে একটি বই প্রকাশ করে। বইয়ের ভেতরে কী লিখেছে, তা জানি না। তারা কাদের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায় দিয়েছে এগুলো তদন্ত করিনি। তারা দিয়েছেন। না দেখে বলতে পারব না, দেখে বলতে হবে।
গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে নামার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ আইন হাতে নিলে আমাদের যা করণীয় সেটাই করব। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি। অভিযোগের কোনো প্রমাণ না থাকলে সে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় না। খবর বাংলানিউজের
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ‘ককাসের’ যৌথ উদ্যোগে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’ গঠন করা হয়। সম্প্রতি ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তাকে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ আখ্যায়িত করে একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে এই গণকমিশন। এসব বক্তার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করারও অভিযোগ আনা হয়ছে। দেশব্যাপী এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।