খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আর নেই

17

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মারা গেছেন। ৮০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খালেদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের শুরুতে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হলেও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। গত ২১ ফেব্রæয়ারি তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর পুত্র খোন্দকার সাঈদ বলেন, বাবার কোভিড নেগেটিভ হয়েছিল। কিন্তু বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। খবর বিডিনিউজের
ইব্রাহিম খালেদ ছিলেন কচিকাঁচার মেলার একজন পরিচালক। বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা ভবনে তার জানাজা হবে। পরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আরেক দফা জানাজা শেষে গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে বলে তার ছেলে জানিয়েছেন ।
১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভূগোলে স্নাতকোত্তর করার পর তিনি আইবিএ থেকে এমবিএ করেন। ১৯৬৩ সালে যোগ দেন ব্যাংকিং পেশায়।
১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পতনের কারণ অনুসন্ধানে সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।
২০১১ সালে বাংলা একাডেমি ইব্রাহিম খালেদকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন তিনি।