খৈয়াছড়া ট্র্যাজেডি চিকিৎসাধীন আরো ১ জনের মৃত্যু

10

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারী থেকে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্না দেখতে গিয়ে বড়তাকিয়া স্টেশন এলাকায় রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের প্রাণে বেঁচে যাওয়া সাত জনের মধ্যে তাছমির হাসান (১৭) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।
প্রায় আটদিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে তাছমির নামে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিকনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার তোফায়েল আহাম্মদ। তিনি জানান, শনিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ৩০ জুলাই তাছমিরকে নিউরো সার্জারি বিভাগ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর থেকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার মাথা ও ঘাড়ে আঘাত ছিল মারাত্মক।
তাছমির হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া গ্রামের যুগিরহাট এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাব-রেজিস্ট্রার বাড়ির মৃত মোহাম্মদ পারভেজের ছেলে। সে চলতি বছর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের কে এস নজু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছে উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিউল আলম।
এদিকে, তাছমিরের মৃত্যুর খবরে আবারও খন্দকিয়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে বড়তাকিয়া স্টেশন এলাকায় রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মহানগর প্রভাতি ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হয়। তারা হাটহাজারীর খন্দকিয়া গ্রামের যুগিরহাটের আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার থেকে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিল। এ ঘটনায় সাতজন আহত হন।