‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

4

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের পারকী এলাকায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করেছে। এসময় বেশ কিছু লাঠি, পাথরভর্তি বস্তা ও হেলমেট উদ্বার করা হয়। এর আগেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আগামী ১০ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দুই পক্ষের একদিকে মো. ফোরকান এবং অন্যদিকে প্রবাসী মো. ইকবাল নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের পারকী এলাকার মদিনাতুল উলুম ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কলিম উদ্দিন মাতবর বাড়ি ও আরব সর্দার বাড়ির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। একমাস আগেও একবার দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আগামী ১০ জানুয়ারি একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তবে এর আগে গতকাল দুপুরে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেশ কিছু কাঁচা ঘরের টিন, ঘেরা, বেড়া কেটে ফেলা হয়। উভয় পক্ষের বাড়ি ঘরে পাথর নিক্ষেপ করে এবং জানালার কাঁচ, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে লাঠিচার্জ করে এবং ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কলিম উদ্দিন মাতব্বর বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মো. সেকান্দর হোসেন বলেন, মাদ্রাসার জায়গাটা একশ বছর আগে মো. হোসেন নামে এক ব্যক্তি ওয়াকফ করে দিয়ে গেছেন। এটি মাদ্রাসার নামে বিএস রেকর্ড হয়েছে। এতদিন পরে সৌদিয়া প্রবাসী মো. ইকবাল জোরপূর্বক মাদ্রাসাটি নাম পরিবর্তন করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে চায়। আমরা বাধা দেয়ায় আমাদের সাথে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। নির্বাচনের দিন রাতে শ’খানেক লোকজন এনে আমাদের উদ্দেশ্য করে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকে এবং গালিগালাজ করে। এর থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রবাসী মো. ইকবাল বলেন, নির্বাচনের দিন কিছু ছোট ছোট ছেলেপুলে নির্বাচন শেষে খেলা হবে স্লোগান দিতে দিতে আমার বাড়িতে আসে। এসময় তারা আমার কাছ থেকে কিছু খাওয়ার জন্য আমার নাম নিয়েও স্লোগান দেয়। আমি তাদেরকে পাশের দোকান থেকে খাবার দাবার কিনে দিই। এটাকে প্রতিপক্ষ ইস্যু বানিয়ে রাতেই আমার বাড়িতে হামলা করার জন্য ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান এসে উভয় পক্ষকে বিরত থাকতে বলে যায়। সকালে তারা অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়।
জানতে চাইলে ঘটনাস্থল থেকে সহকারি পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয় এবং বেশ কিছু লাঠি,পাথরের বস্তা, হেলমেট উদ্বার করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।