খেলার মাঠকে মেলার জন্য বরাদ্ধ না দেয়ার আহবান

13

ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল- এমন একটি কথা চালু আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা মতে, শরীরের কাঠামো ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য খেলাধুলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর ক্রীড়ার আসল উদ্দেশ্য অনুযায়ী ক্রীড়াঙ্গণ এখন পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় আমাদের প্রিয় এই দেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে পরিচয় দিতে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করছে। যার সিংহভাগ অবদান বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধিন সরকারের প্রাপ্য। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও খেলাধুলার স্থানের দিক দিয়ে রাজধানী ঢাকার তুলনায় এমনিতেও চট্টগ্রাম অনেক অনেক পিছিয়ে আছে। চট্টগ্রামে বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন ও প্রশিক্ষণ একাডেমিগুলোর প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণের স্থানের অপ্রতুলতার কারণে সুষ্ঠু প্রশিক্ষণে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে। হাতে গোনা কয়েকটি প্রশিক্ষণ মাঠের মধ্যে এম. এ আজিজ স্টেডিয়াম ও জিমন্যামিয়াম সংলগ্ন প্রশিক্ষণ মাঠটিতে প্রতিদিন শতশত ক্ষুদে শিশু-কিশোর ক্রিকেট-ফুটবল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিভিন্ন সময়ে পিঠা উৎসব, বইমেলা, গাড়ীমেলা, বস্ত্রমেলা, বৃক্ষমেলাসহ এই নামে, সেই নামে বিভিন্ন ক্রীড়া বহির্ভুত অনুষ্ঠানের নামে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস প্রশিক্ষণ মাঠটি দখল হয়ে থাকে। যার দরুণ বিভিন্ন বয়সী খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণ নিতে ব্যর্থ হয়। যেই মুহূর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলাকে ব্যাপকভাবে উৎসাহ প্রদান করছেন সেই মুহূর্তে বিভিন্ন মেলার আড়ালে ক্রীড়া প্রশিক্ষণে এমন বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়া সত্যিই দুঃখজনক ব্যাপার। বিভিন্ন মেলা করার জন্য চট্টগ্রামে খোলা জায়গার অভাব না থাকলেও মেলা অনুষ্ঠানের নামে ক্রীড়াচর্চাকে বাধাগ্রস্ত করা কোনোমতেই সমীচিন ও শুভ কাজ হবে বলে আমরা মনে কওে না চট্টগ্রামের ক্রীড়ামোদী জনগণ। এ ব্যাপারে সচেতন সচেতন ক্রীড়ামোদীমহল সিজেকেএস, জেলা প্রশাসন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদসহ সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ক্রীড়ামোদী মহল। বিজ্ঞপ্তি