খাশোগি হত্যায় কনস্যুলেটে প্রবেশাধিকার চায় আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা

29

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় গঠিত একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত দল তুরস্কের কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশাধিকার চেয়েছে। ওই দলের নেতৃত্ব দেওয়া জাতিসংঘের এক মানবাধিকার তদন্তকারী অ্যাগনেস ক্যালামার্ড শনিবার বলেছেন, ইস্তানবুল কনস্যুলেট ছাড়াও সৌদি আরবও যেতে চান তারা। আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অনুরোধ পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত সৌদি কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দেয়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তুরস্ক সরকারের আমন্ত্রণে গত সোমবার দেশটিতে এক সপ্তাহের শুরু করেছেন অ্যাগনেস। গত ২ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের সৌদি কন্স্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। মার্কিন গোয়েন্দাদের বিশ্বাস সৌদি সরকারের সমালোচক এই সাংবাদিককে হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নির্দেশ দিয়েছেন। সৌদি আরবের তরফে দাবি করা হয়েছে, খাশোগিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাওয়া ১৫ সদস্যের একটি দল উত্তেজিত হয়ে তাকে খুন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। হত্যাকান্ডে যুবরাজের কোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে আসছে রিয়াদ।
খাশোগি হত্যাকান্ডের বিষয়ে আগামী জুনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে ক্যালামার্ডের তদন্ত দলের। আইন ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত হয়েছে তার তিন সদস্যের দলটি। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, খাশোগি হত্যায় ‘ব্যক্তি’ ও ‘রাষ্ট্রের’ দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করবে তাদের প্যানেল। এক ইমেইলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘আমি ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে প্রবেশ ও তুরস্কে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ চেয়ে অনুরোধ করেছি। সৌদি আরবেও একই ধরণের একটি সফরেরও অনুরোধ জানিয়েছি আমি’। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, খাশোগি হত্যাকান্ডে কীভাবে ‘আনুষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা’ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করবে তাদের তদন্ত দল। যুক্তরাষ্ট্রসহ সব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হবে জানান তিনি। ক্যালামার্ড বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে এই মামলায় দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে তাদের তদন্ত। এছাড়া সাংবাদিক, মানবাধিকার রক্ষকসহ অন্যদের জীবনের সুরক্ষা ও প্রতিরোধের নতুন রাস্তা খুলে দেবে’। বাংলাট্রিবিউন