খালেদ চৌধুরী

9

 

খালেদ চৌধুরী, একজন নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং বাংলার শিল্পী ছিলেন। তিনি বাংলা ও হিন্দি উভয় বিভাগে নাটকের বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, ও শ্যামানন্দ জলান। তাঁর কাজের পরিধি বিস্তৃত ছিল মঞ্চ সেট এবং পোশাক প্রস্তুত করা, এবং পরে তিনি সংগীত পরিচালক হিসাবেও কাজ করেছিলেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন, ভারতের কলকাতায় থাকতেন। ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সম্মান তালিকায় থিয়েটারে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ৩০শে এপ্রিল ২০১৪ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
খালেদ চৌধুরী ১৯১৯ সালের ২০শে ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ব্রিটিশ ভারতের করিমগঞ্জে, যা তখন অবিভক্ত আসাম রাজ্য ছিল। তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ দত্ত চৌধুরী এবং তাঁর মা হেম নলিনী। তাঁর ঠাকুমার ভাই, গুরুসদয় দত্ত তাঁর নাম রেখেছিলেন চিরকুমার, কিন্তু তাঁর পিতা পরে নামটি চিররঞ্জন দত্ত চৌধুরীতে পরিবর্তিত করেন। বাবার সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের পরিণতি হিসাবে, তিনি, ১৯৪৩ সালে, নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন খালেদ চৌধুরী (যদিও তিনি তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করেননি)। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতায় চলে এসেছিলেন। ৩০শে এপ্রিল ২০১৪ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।
১৯৪৫ সালে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘে যোগ দেন (ভারতীয় গণনাট্য সংঘ)। অঙ্কন, চিত্রকলা এবং সঙ্গীতের (লোকসঙ্গীত এবং পাশ্চাত্য উভয়েই) ক্ষেত্রে তাঁর শৈল্পিক প্রতিভা সম্পন্ন অবদানের জন্য ১৯৪৭ সালে তাঁকে শহীদের ডাক নামক একটি ছায়া থিয়েটারে জড়িত করা হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে তিনি বহরূপীতে যোগদান করেছিলেন।
খালেদ চৌধুরী মঞ্চ পরিচালক হিসাবে প্রধানত যে নাটকগুলির সাথে জড়িত ছিলেন তার মধ্যে আছে : বহুরূপী প্রযোজনায় : ১৯৫৩ সালে শম্ভু মিত্র পরিচালিত ধর্মঘট; ১৯৫৪ সালে সংগীত ও মঞ্চ পরিচালক ও পোশাক পরিচালক হিসাবে শম্ভু মিত্র পরিচালিত রক্ত করবী ; ১৯৫৫ সালে অমর গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত স্বর্গীয় প্রহসন; ১৯৫৫ সালে অমর গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত অংশীদার; ১৯৫৭ সালে তৃপ্তি মিত্র পরিচালিত ডাকঘর ; ১৯৫৮ সালে শম্ভু মিত্র পরিচালিত পুতুল খেলা; ১৯৬৯ সালে শম্ভু মিত্র পরিচালিত বর্বর বাঁশী ; ১৯৭০ সালে তৃপ্তি মিত্র পরিচালিত কিংবদন্তী; ১৯৭১ সালে শম্ভু মিত্র পরিচালিত পাগলা ঘোড়া ; ১৯৭২ সালে তৃপ্তি মিত্র পরিচালিত গান্ধার ; ১৯৮৮ সালে কুমার রায় পরিচালিত জজাতি। সূত্র : উইকিপিডিয়া