খালেদা নিবিড় পর্যবেক্ষণে

16

ঢাকা প্রতিনিধি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি বøক পাওয়া গেছে; শনিবার (১১ জুন) দুপুরে রিং পরানোর পর তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। এ সময় পার হলেই তাঁর মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। গতকাল রোববার দুপুরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সিসিইউতে আছেন, মেডিক্যাল বোর্ড তাকে অবজারভেশনে রেখেছে। অবজারভেশনের পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে মেডিক্যাল বোর্ড।
সিসিইউতে খালেদাকে কার্ডিওলস্টিদের পর্যবেক্ষেণে রাখার কথা জানিয়ে জাহিদ বলেন, গতকাল (শনিবার) ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটা বøক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেল, যেটা লেফট সাইডে, সেটায় মোর দ্য ৯৫% ব্লক ছিল। এ কারণে উনার হার্ট অ্যাটাক হয়, এনজিওগ্রামে ওখানে সাথে সাথে স্টেন্টিং করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাকি দুইটি ব্লকের বিষয়ে উনার শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা করা হবে। কারণ উনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আছে, ক্রনিক লিভার ডিজিস আছে, এক্ষেত্রে যেসব ওষুধ ইউজ করতে হয়, তাতে কিডনির ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেজন্য আরও দুটি ব্লক অপসারণের কাজটি বাকি রাখা হয়েছে।
ডা. জাহিদ বলেন, নানা দিক বিবেচনা করে মেডিকেল বোর্ড ক্রিটিক্যালি যেটা বেশি, উনাকে বেশি শারীরিকভাবে কষ্ট দিচ্ছে, সেটাতে স্টেন্টিং করেছে। একিউট ইমার্জন্সি যেটা হয়েছিল, সেটার থেকে ওভারকাম করার জন্য গতকালকে (শনিবার) একটা করা হয়েছে। রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন।
হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে পর্যবেক্ষণ করছে।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের পরিবারসহ কাউকে উনারা অ্যালাউ করছেন না। আমরা নিজেরাও সেখানে বেশি যাতায়াত করছি না। বাইরে থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার করছি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে তাকে ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়লে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার দুপুরে হৃদপিন্ডে একটি বøক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্টিং করা হয়।