আগামী ২০ জুলাই বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে গণবিস্ফোরণ ঘটবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওইদিন চট্টগ্রাম মিছিলের নগরীতে পরিণত হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় কক্সবাজার, বান্দরবানসহ প্রত্যেকটা জেলা ইউনিটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমকে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। গণতন্ত্র মুক্তির জন্য, ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। চট্টগ্রামের ২০ জুলাইয়ের বিভাগীয় সমাবেশ হবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ। ওইদিন চট্টগ্রাম মিছিলের নগরীতে পরিণত হবে। শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশকে সফল করুন।
তিনি বলেন, বিগত দিনে চট্টগ্রামের সমাবেশগুলো সফল হয়েছিলো এক প্রেক্ষাপটে। বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের শত জুলুম নির্যাতনের পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। তারা এখন জেলখানাকে ভয় পায় না। তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে সমাবেশকে সফল করবে।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির অভাব অনুভব করছে। জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে মুক্ত করতে মাঠে নামতে প্রস্তুত। জনগণের দাবির মুখে এই সমাবেশ হচ্ছে। এই সমাবেশে গণবিস্ফোরণ ঘটবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, এই চট্টগ্রাম বিএনপি ও ধানের শীষের ঘাঁটি। এই চট্টগ্রাম থেকেই বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রামের মানুষ বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য মুখিয়ে আছে। তিনি সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সবাইকে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করার আহŸান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন,অতীতে সমাবেশের চেয়ে এবারেরটা একটু ভিন্ন হবে। জনগণের ইচ্ছায় বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশ সফল করার জন্য প্রত্যেক জেলায় সভা করে প্রস্তুতি নিতে হবে। সমাবেশ সফল করে বেগম জিয়ার মুক্তির আওয়াজ জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।
মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ড. সুকোমল বড়–য়া, এসএম ফজলুল হক ফজু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ফোরকান-ই-আলম, মশিউর রহমান বিপ্লব, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল খায়ের, মনজুর উদ্দিন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জিয়াউদ্দিন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক এমএন আফছার উদ্দিন, রাঙামাটির সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদার দীপু, বান্দরবান জেলা সহ-সভাপতি আবদুল মাবুদ, ল²ীপুর জেলার শাহাব উদ্দিন শাবু, সংসদীয় আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, ইসহাক কাদের চৌধুরী, নুরুল আমিন, কুতুব উদ্দিন বাহার, জসিম উদ্দিন সিকদার, ফরহাদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এমএ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুর রহিম, এমএ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, ইদ্রিস মিয়া, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, আলী আব্বাস, এড. আবু তাহের, নূর মোহাম্মদ, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
