খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও ‘উদ্বেগজনক’

6

 

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও পুরনো কিছু রোগের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা গতকাল শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটারগুলো আছে-পোস্ট কোভিডের পর থেকে উনি মোটামুটি বেটার। ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো উদ্বেগজনক। তার হার্টের প্রবলেম, কিডনির প্রবলেম আছে। এই দুইটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। উনার মনে করছেন, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, অ্যাডভান্স সেন্টারগুলো আছে, সেগুলো যথেষ্ট নয় উনার টিট্রমেন্টের জন্য’।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন, উনার অ্যাডভান্স টিট্রমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে অ্যাডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরি। আমরা সেটা বার বার বলছি’।
খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগেও বলেছি, এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি- দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। একেবারে রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত, তারপরে যাবতীয় যে সমস্ত আইন করেছে তা আদালত করেছে। আর ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় করে থাকে তাহলে আদালত করেছে। কোনো আইনেই কোনোভাবেই তার সাজা হতে পারে না এবং তা আবার বর্ধিত করা যেতে পারে না। ওই জায়গায় আদালতের প্রতি আস্থাটা আমাদের কত যে, আমরা ধীরে-সুস্থে চিন্তাভাবনা করে আদালতে যাব’।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলরু রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালকুদার, কায়সার কামাল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। খবর বিডিনিউজের
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়লে গত ৩ মে তাকে সিসিইউতে নেওয়া। খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হন ৯ মে।
কোভিডপরবর্তী জটিলতার কারণে এরপর থেকে হাসপাতালে হৃদরোগে বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে গত ২৮ মে খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিএনপি প্রধান।