খালেদা জিয়াকে হাজির করার নির্দেশ

39

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১৩ মার্চ অভিযোগ গঠন শুনানিতে সব আসামিকে আদালতে হাজির থাকারও আদেশ দেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান এ আদেশ দেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দেওয়ার আবেদন করেন। এরপর শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরসহ অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য করেন।
খালেদার আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য জানান। এর আগে সোমবার সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদন্ড কার্যকর), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদন্ড কার্যকর), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডি ত হয়েছেন।