খালেদার মুক্তির জন্য আদালতে চেষ্টা করুন

24

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির সরকার উৎখাতের আন্দোলনের হুমকির জবাবে বলেছেন, হুমকি দিয়ে আর নিজেদের হাস্যস্পদ করবেন না বরং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালতে চেষ্টা করুন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘৯ম এনএসইউ ক্যারিয়ার ফেয়ার’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
‘আগামি ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে বিএনপি সরকার উৎখাতের আন্দোলনে যাবে’- বিএনপির এমন ঘোষণার প্রতি সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বিএনপির এ ধরনের আন্দোলনের হুমকি আমরা গত সাড়ে ১০ বছর ধরে শুনে আসছি। বুধবার (২৮ নভেম্বর) তারা যা বলেছে, তার অর্থ হলো- তারা আইন মানে না, আদালত মানে না এবং এটাও বোঝে না যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সরকারের হাতে নয়। তথ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে সাজাভোগ করছেন। এটি সম্পূর্ণভাবে আদালতের বিষয়। নিম্ন আদালত তাকে ৫ বছর সাজা দিয়েছিল, আপিলের পর উচ্চ আদালত তাকে ১০ বছর সাজা দেন। তার মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে- হয় জামিন, নয়তো খালাস পাওয়া। এছাড়া তার মুক্তির কোনো সুযোগ নেই বা সরকারের হাতেও কিছু নেই।
তারপরও বিএনপির এ বক্তব্যের অর্থ হলো, তারা আইন-আদালত মানে না, আর এ ধরনের হুমকি তারা আগেও দিয়েছে এবং নিজেদের হাস্যস্পদ করেছে। এবারও তাই, এর বেশি কিছু নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বিএনপিকে বলবো, নিজেদের হাস্যস্পদ না করে বরং আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির চেষ্টা করুন, আদালত জামিন দিলে তিনি মুক্তি পাবেন। খবর বাংলানিউজের
বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়- বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত সংসদ সদস্যরাও জামিন না পেয়ে কারাগারে গেছেন। উচ্চ ও নিম্ন আদালত থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অনেক রায় হয়, যেগুলো আমাদের জবাব দিতে হয়। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন বলেই এগুলো হয়।
অতীতের দিকে নজর দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, মূলত: তারা (বিএনপি) যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বিচার বিভাগকে পরাধীন করে রেখেছিল। সেটিই তারা মনে মনে ভাবে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পূর্ণ মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় থেকে উন্নত দেশ হবে। আর এজন্য সব বয়স ও পেশার মানুষকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।
গত অর্থবছরে শতকরা ৮ দশমিক ১৩ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির দেশ, স্মরণ করিয়ে দেন হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কথনে মা-বাবার যত্ন, দেশপ্রেম ও সময়ের সদ্ব্যবহারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেন।
এনএসইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রান্ট কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ, ক্যারিয়ার ফেয়ার পরিচালক অধ্যাপক মো. খসরু মিয়া প্রমুখ। এসময় উপস্থিত বিপুলসংখ্যক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ছিলেন।