খালেদার মুক্তির আবেদনে প্রক্রিয়া চলছে

2

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিবারের করা আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমত অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,খালেদা জিয়ার ছোট ভাই আমাদের কাছে একটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। আপনারা জানেন, আমি বিদেশে ছিলাম। আমি এখনই ফিরেছি। আইন মন্ত্রণালয় যে অভিমত দিয়েছে, সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, আমি তো অফিসে মাত্রই এলাম। প্রক্রিয়া কোন পর্যন্ত, আমি না জেনে বলতে পারব না। সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ দন্ড স্থগিতের সময় শেষ হবে। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীতো ১৭ তারিখে বিদেশে চলে যাবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা অপেক্ষা করুন। ইয়েস, নো- কোনোটাই তো আমরা বলতে পারব না। এটা প্রক্রিয়ায় আছে, প্রধানমন্ত্রীর ওখানে যাবে। প্রক্রিয়াধীন আছে।
এদিকে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদনে মতামত দিয়ে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। খবর বাংলানিউজের
এর আগে গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিন দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।