বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন, জিয়া ও খালেদা ক্ষমতায় থাকার সময় তা করেছেন কি না- এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন এবং খালেদা জিয়া যখন দু’বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন কোন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে, এখন খালেদা জিয়া যে সুযোগ পাচ্ছেন, তেমন সুযোগ দিয়েছিলেন কি? তারা যেটি করেননি, সেটি খালেদার জন্য বঙ্গকন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। সুতরাং তাদের প্রথমেই শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তাকে ধন্যবাদ জানানো দরকার।
গতকাল শনিবার রাত আটটায় চিটাগাং ক্লাবে বাংলাদেশ-রাশিয়ার কুটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের প্রারম্ভে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি নাদের খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাশিয়ার অ্যাম্বেসেডর আলেকজান্ডার ম্যানটিসকি, সহকারি ইন্ডিয়ান হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, রাশিয়ান কনফেডারেশনের অনারারি জেনারেলবৃন্দ।
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আহবান জানিয়েছেন’ এ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত কিছুদিন ধরে বিএনপির বক্তৃতা বিবৃতি ও নানা কর্মসূচিতে মনে হচ্ছে বিএনপির একমাত্র মাথাব্যথা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য। দেশ ও দেশের অন্য কোন বিষয় নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই। একটি দলের রাজনীতি যখন শুধুমাত্র তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, সেই দল কখনো জনগণের দল হতে পারে না।
তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে খালেদা জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, দÐপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্তে¡ও তিনি দেশে সবচেয়ে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তার পছন্দ অনুযায়ী। তিনি কারাগারের বাইরে আছেন, পরিবার পরিজনের সাথে আছেন। তার ও বিএনপির ইচ্ছে অনুযায়ী সমস্ত চিকিৎসা হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর বিএনপির যে দাবি এটির পেছনে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি আগেও যখন অসুস্থ হন, তখনও তারা বলেছিলেন খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে তিনি কখনো ভালো হবেন না। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। এখনো কামনা করি তিনি ভালো হয়ে ঘরে ফিরে যাক। কিন্তু বিএনপি সেটি চায় কিনা এটিই হচ্ছে প্রশ্ন? বিএনপি চায় খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাক। তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হয়।
খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার কোন অসুখ ছিল কি না, সেটি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ অন্যান্য ইনভেস্টিগেশনে বেরিয়ে আসবে তিনি অসুস্থ ছিলেন কি না। সেটি করার আগে কাউকে দোষারোপ করা সমীচিন নয়। আর এ মৃত্যুর জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তিনি যেই হোক অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নিবে।
