খাদ্য মজুদ বাড়ানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

11

ঢাকা প্রতিনিধি

বিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে তিনি খাদ্য মজুদ করতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। গতকাল রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খাদ্য আমদানি করতে ইতোমধ্যেই পাঁচ দেশের সাথে চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু এর উপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরও কয়েকটি উৎসকে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে শেষ মূহুর্তে কোন জটিলতা না হয়। বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্যের (চাল ও গম) পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কোন কারণে আমদানির জন্য নির্ধারিত পাঁচটি দেশের কেউ যদি খাদ্যশস্য দিতে অপারগ হয়, তখন যাতে কোন ঝামেলায় পড়তে না হয়। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত কিছু খাদ্যশস্য কিনে সহনীয় মাত্রায় রাখতে হবে। উল্লেখ্য, করোনা মহামারির পর ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে খাবার ও জ্বালানির দাম বেড়েছে। এতে বাড়তি মূল্যস্ফীতির কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক দেশে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডলারের দাম।
বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়ায় বিলাস পণ্য আমদানি কমানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমাতে হয়েছে সরকারকে। এই সঙ্কটের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম যেন আরও বেশি অস্থির না হয়, সেজন্যই খাদ্য মজুদ ঠিক রাখার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার।
গত শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে এক অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক সংকট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের অগ্রাধিকার।
গতকাল রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি খাদ্য শস্য মজুদ আছে। নভেম্বরে বিশ্বে যে খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা আছে, তাতে অনেক কমফোর্টেবল অবস্থায় আমরা আছি। এরপরও রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে খাদ্যশস্য আনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। রাশিয়া থেকে খাদ্য শস্য আনতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য গুদাম থেকে যাবে, সেই পরিমাণ খাদ্যশস্য অতিরিক্ত কেনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগাম নিরাপত্তার জন্য এটি করা হয়েছে। আমদানির জন্য যে চুক্তি এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে আর কোনো ঘাটতি হবে না।
স¤প্রতি বেশ কয়েকজন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্রাম এলাকায় এখন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় আমনের সেচকাজ ভালো হচ্ছে।