খাজা গরীবে নেওয়াজের ওরশ

520

নগরীর বলুয়ার দীঘি পাড়স্থ খানকাহ্-এ-কাদেররিয়া তৈয়্যবিয়া হুজুর খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী আজমিরী সঞ্জরী (রহ.) ওফাত বার্ষিকী মাহফিলে বক্তারা বলেন, হুজুর রাসুলে করিম (দ.) ইশরায় ভারত উপমহাদেশে ইসলামের যে আলো নিয়ে এসেছিলেন তাই শত বছর ধরে পরস্পর বিপরীতমুখী চিন্তা-চেতনায় মানুষকে একত্রিত করে সাম্য সম্প্রীতি সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করেছে। যার কারণে প্রায় দু’শো বছর ধরে শাসন করছে ইংরেজদের লর্ড কার্জন স্বীকার করেছেন। ভারতের শাসনভার ইংরেজদের কাছে থাকলেও প্রকৃত পক্ষে খাজা গরীবে নেওয়াজ (রহ.) আমল থেকেই ভারতের রাজত্ব চলে। আর সে কারণেই ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে ঈমানী স্বাদ অর্জনের কর্মসূচি বিতরণ করেন। মুমিন হিসেবে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে উম্মতে মোহাম্মদীকে বাঁচানোর জন্যেই গাউসে পাক গরীবে খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভী, হুজুর সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ (রহ.) সিরিকোটি, হুজুর সিরিকোটি হুজুর তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) যে শিক্ষা দিয়েছেন তা এগিয়ে নিতে আনজুমান-জামেয়া-দাওয়াতে খাইর প্রতিষ্ঠা করতে গাউসিয়া কমিটিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহবান জানান। গত বৃহস্পতিবার বাদে মাগরিব থেকে চট্টগ্রাম বলুয়ারদিঘি খানকাহ্ শরীফে ১ থেকে ৬ রজব পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপী ওরশে খাজা গরীবে নেওয়াজ (রহঃ)’র সমাপনী দিবসের মাহফিলে বক্তারা উপরোক্ত আহবান জানান। খানকাহ শরীফের উপদেষ্টা-মোতোয়াল্লি আহমদ হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান মেহমান ছিলেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শাহাদাত ইবনে দিদার। প্রধান আলোচক ছিলেন গাউছিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার। মহানগর গাউছিয়া কমিটির প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ এরশাদ খতিবীর পরিচালনায় মাহফিলে বিশেষ অতিথি ও আলোচক ছিলেন গাউছিয়া কমিটির মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, নুর আহমদ পিন্টু, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আব্দুল আউয়াল। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নেওয়াজ আহমদ, সাব্বির আহমদ, ছিদ্দিক আহমদ, মুহাম্মদ কাশেম, হাবিব উল্লাহ মাস্টার, আশেক রসূল খান বাবু, মুহাম্মদ জানে আলম, মাওলানা হাফেজ আবুল হোসেন, মঈনুদ্দিন ফারুক, মির্জা ফজলুল কাদের, মোফাক্কর ইসলাম, গাজী মো. গাউজ নবী, গোলাম মহিউদ্দিন, মো. আব্দুল মান্নান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

‘খাজা বাবার
বদৌলতে এ অঞ্চলে ইসলামের ভিত
রচিত হয়েছে’

২২নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের জুবিলী রোডস্থ এবাদুল্লাহ পন্ডিত স্কুল মসজিদে গত বুধবার বাদ এশা প্রখ্যাত সুফী সাধক, ধর্ম প্রচারক, সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রা.) বার্ষিক ওফাত দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সমাজসেবী বজল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন প্রবীণ দ্বীনে আলেম ও লেখক মৌলানা জাহাঙ্গীর হোসাইন চৌধুরী। এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মসজিদের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ আলী, আলী মোহাম্মদ হোসেন, মৌলানা মোহাম্মদ লোকমান, আহমদ আবদুল করিম, কুতুব উদ্দীন প্রমুখ। প্রধান বক্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খাজা বাবার বদৌলতে এই ভারতবর্ষ তথা এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্মের ভিত রচিত হয়েছে। তাঁর অসাধারণ আধ্মাতিক শক্তি ও কূটকৌশলের কাছে পরাভূত হয়ে হাজার হাজার বিধর্মী ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। মৌলানা জাহাঙ্গীর হোসেন খাজা বাবার আদর্শ অনুসরণ এবং তার অনুসৃত চিশতিয়া তরীকার চর্চার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি

গাউসিয়া কমিটির
মিলাদ মাহফিল

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ইসমাইল ফয়েজ রোড ইউনিট শাখার উদ্যোগে ঈদে-মিলাদুন্নবী (সা.) ও ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে নূরানী মিলাদ মাহফিল গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বাদে মাগরিব ১৯নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ বাকলিয়া, ইসমাইল ফয়েজ রোডে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোন্তাজেমে দরবার গাউছিয়া গায়েবী ধন মনজিল মাইজভান্ডার শরীফ এর সাজ্জাদানশীল সৈয়দ আবুল মনছুর আল মাইজভান্ডারী (মাজিআ), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে আশেকানে হযরত গায়েবী ধন মাইজভান্ডারীয়ার মহাসচিব শাহজাদা শাহ্সূফী সৈয়দ ইরফানুর রহমান মিজান আল-হাছানী আল মাইজভান্ডারী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত খাজা কালুশাহ (রহ.) জামে মসিজদের খতিব আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজ্ববী (মাজিআ), বিশেষ বক্তা পটিয়া খাজা গরীব আলী শাহ দরবার শরীফের শাহজাদা মাওলানা মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন গরিবী (মাজিআ)। সভাপতিত্ব করেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ইসমাইল ফয়েজ রোড ইউনিট শাখার সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। উক্ত মিলাদ মাহফিলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য দোয়া করা হয়। বক্তারা বলেন, নবী-রাসুলের পথ অনুসরণ করলেই ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। মানুষের মধ্যে মানবতা জাগ্রত হবে। ধনী-দরিদ্র বৈষম্য ভুলে গিয়ে সবাইকে কোরআন সুন্নাহ আলোকে জীবন গঠন করার আহবান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি