খাগড়াছড়িতে পিবিসিপি’র নিন্দা

41

উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলায় রাজস্থলীতে এক সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বার্তায় এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে পিবিসিপি, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মো. আসাদ উল্লাহ বলেন, দেশের গৌরব সেনাবাহিনীর উপর হামলার করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। যা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজাতি সন্ত্রাসীরা একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটালেও প্রশাসন তাদের বিচার করতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার ফলে সন্ত্রাসীরা ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যথা ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরকে আদিবাসী বানানোর প্রচেষ্টা, পাহাড় থেকে বাঙালি অপসারণের দাবি, পাহাড় থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, টহলরত সেনাবাহিনীর উপর হামলা, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে সমাবেশ করা জুম্মল্যান্ড বাস্তবায়ন চেষ্টার ধারাবাহিকতার অংশ। তাই এ ধরনের রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

খাগড়াছড়িতে ৭ হত্যাকান্ড
এক বছরেও শেষ হয়নি তদন্ত চিহ্নিত হয়নি আসামীরা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর বাজার ও পেরাছড়ায় পৃথক পৃথক সংগঠিত সেভেন মাডারের একবছরেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। জীবনের ঝুঁকি ও বিচারে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এমন নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরিবার ও সংগঠনের কেউ মামলার বাদী হয়নি। অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামী করে পুলিশের করা হত্যা মামলার তদন্ত করছে চট্টগ্রাম বিভাগের পিবিআই। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা বাদি না হওয়ায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র দে বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ থেকে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি চট্টগ্রাম পিবিআই-এ প্রেরণ করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বনির্ভর বাজারে হত্যাকান্ডে র ঘটনা প্রশাসনের গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এই হত্যাকাণন্ড বলে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্গম এলাকায় সড়ক নির্মাণসহ ৫টি সুপারিশ করা হয়। যার অধিকাংশ বাস্তবায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন ও কিছু চলমান। সিসিটিভি ফুটেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট সকালে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর বাজারে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের এক বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতিকালে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ৬ জনকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। এ সময় অরও একজন পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখার তৎকালীন সভাপতি তপন চাকমাসহ সংগঠনের ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়। নিহত বাকী ৩ জন ছিল সাধারণ মানুষ।