কয়েদিদের তৈরি ‘কারাপণ্য’

137

কারাপণ্য মানে কারুপণ্য। কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদের সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত কয়েদিরাই তৈরি করেন কারাপণ্য। এসব পণ্যের মাধ্যমে তারা তাদের মনের শিল্পসত্ত্বার পরিচয় ফুটিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেন।বেত ও বাঁশের তৈরি মোড়া, কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, কাপড়, সুতা ও উল দিয়ে বানানো শতরঞ্জি, পাপোশ, চাদর, ওড়না, গামছাসহ ঘরে ব্যবহার করার মতো নানা জিনিস। এসব পণ্য এখন ঢাকার বাণিজ্যমেলায় বিক্রি করছে কারা অধিদপ্তর। বাণিজ্যমেলার ভেতরে ঢুকে একটু বা দিকে গেলেই চোখে পড়বে ৩ নম্বর প্যাভিলিয়ন। মোটামুটি মাঝারি আকৃতির এ প্যাভিলিয়নের ওপরে লেখা রয়েছে ‘কারাপণ্য’। বাণিজ্য মেলায় এসব পণ্যের মূল্যের পাশাপাশি কোনোটার গায়ে লেখা রয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তৈরি, কোনটার গায়ে লেখা রয়েছে রাজশাহী কারাগারে তৈরি, কোনোটার গায়ে আবার লেখা রংপুর কারাগার। প্রতিটি পণ্যই কারাগারের ভেতরে তৈরি। আর এগুলো সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা তৈরি করেছেন। প্রতিটি পণ্যেই যেন কয়েদিদের নিখুঁত হাতের যত্নের ছোঁয়া রয়েছে। কারা অধিদপ্তরের ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন বাণিজ্য মেলায় বিক্রি করতে আনা কারা পণ্যের স্টলে। ক্রেতাদের পছন্দের পণ্যগুলোকে বেশ যত্নের সঙ্গেই তারা উপস্থাপন করছেন। সেই সঙ্গে নানা কৌতূহল আর প্রশ্নের জবাবও তারা দিয়ে চলেছেন ধৈর্যের সঙ্গে। বেত ও বাঁশের ফালি ব্যবহার করে তৈরি করা নানা বৈচিত্র্যময় পণ্য। এরমধ্যে রয়েছে নান্দনিক নবাবী চেয়ার। যা নবাবী আমলের ঐতিহ্যকে প্রকাশ করছে। এরকম সব পণ্যই হাতের তৈরি। দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে বানানো। এ কারণেই দাম একটু বেশি। পণ্যের গুণগত মান ভালো। তাই একবার যারা কিছু নিয়েছেন, তারা পুনরায় আসছেন এখানে।’