ক্ষেতজুড়ে সূর্যমুখীর শোভা দেখতে মানুষের ভিড়

90

 

সূর্যমুখী উৎকৃষ্ট তেল জাতীয় ফসল। সূর্যমুখীর বীজে শতকরা ৪০-৪৫ ভাগ উপকারী লিনোলিক এসিড রয়েছে এবং ক্ষতিকর ইরোসিক এসিড নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখী ব্যাপক ভাবে চাষ করা হয়। বাংলাদেশে রান্নায় ব্যবহৃত হয় ছয় ধরনের ভোজ্যতেল। এর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে আছে সূর্যমুখী তেল। বছরে গড়ে ৩৭ শতাংশ হারে বাড়ছে এ তেল আমদানি। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দামে লাগাম টানতে চলছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে বছরে ৩-৪ হাজার টন সূর্যমুখী তেলবীজ উৎপন্ন হয়। উৎপাদন বাড়লে তেলবীজ আর আমদানি করতে হবে না। রাউজানে প্রদর্শনী স্বরুপ পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন জুড়ে ১৫টি আলাদা বাগানে ৩ একরের বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। এসব বাগান পরিদর্শন করেন রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ। সরেজমিন দেখা যায়, সূর্যমুখীর হলুদ আভায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সেই নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে উৎসুক মানুষ।
সূর্যমুখী ফুল সূর্যের দিকেই মুখ ঘুরিয়ে থাকে। তাই, নাম তার সূর্যমুখী। প্রাকৃতিক নিয়মে একটি গাছে ১টি ফুল হওয়ার কথা থাকলেও রাউজানে কিছু গাছে ১টি গাছে ১০টিরও অধিক ফুল দেখা গিয়েছে। এ বিষয়ে রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আজাদ হোসেন বলেন, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শে আমরা রাউজানকে কৃষি বান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছি। যার লক্ষ্যে আমার এ ওয়ার্ডেও দুটি সূর্যমূখী বাগানের পাশাপাশি নানা জানের ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানাভাবে সহয়তা ও উৎসাহিত করে আসছি। রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা এবার ১৫টি প্রদর্শী করেছি। এতে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছে। সামনে আরো ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।