ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী খুমী সম্প্রদায়: একটি সমাজতাত্তি¡ক বিশ্লেষণ

27

শামসুদ্দীন শিশির

(শেষ অংশ )
সপ্তাহের নাম : বাংলা খুমী, রবি তালাং কুনি, সোম তালাং লা, মঙ্গল আংকা, বুধ পুদু, বৃহস্পতি ক্রাশা পিদি, শুক্র সেউক্রা, শনি চিনি
ইংরেজি বার মাসের নাম : বাংলা খুমী, জানুয়ারি লিলু, ফেব্রæয়ারি দিতো, মার্চ দিপুই, এপ্রিল প্রে, মে সামহ, জুন পহু, জুলাই পরবাই, আগষ্ট ক, সেপ্টেম্বর কোকো, অক্টোবর কে, নভেম্বর তলাংউই, ডিসেম্বর তারাম/রামতাং খুমী ভাষার উপর কোনো বিদেশী ভাষার প্রভাব লক্ষ করা না গেলেও বান্দরবান জেলায় আদিবাসীদের মধ্যে মত বিনিময়ের প্রধান ভাষা হিসেবে পরিচিত মারমা ভাষার প্রভাব যথেষ্ট লক্ষণীয়। তবে এর অধিকাংশ শব্দই ধর্মীয় শব্দ। খুমীরা বাংলা বলতে পারলেও নিজ ভাষা ছাড়া ২/৩টি ভাষায় কথা বলতে পারে।১৮
লোক-সংস্কৃতি ও সাহিত্য : খুমীদের কোনো লিখিত সাহিত্য না থাকলেও সমৃদ্ধ লোক সংস্কৃতি ও অলিখিত (মৌখিক) সাহিত্য রয়েছে। তাদের অলিখিত সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে রূপকথা, গান, বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। খুমীদের লোক সংগীত খুবই সমৃদ্ধ। এই লোক গীতি সব খুমীদের নিকট বোধগম্য নয়; কেবল শিল্পীরাই বুঝতে পারে। আজকাল এই লোকগীতি খুব কম সংখ্যক লোকজন চর্চা করছে। এই লোক গীতির বিশেষ দিক হলো শিল্পীরা এই গানের ভাষায় নিজেদের মধ্যে আনন্দ-বেদনা, প্রেম-ভালবাসা, সুখ-দুঃখের অনুভূতি আদান প্রদান করতে পারে; যা সাধারণ লোকজন বুঝতে পারে না। এই অলিখিত লোক-সংগীত ছাড়াও আজকাল খুমীরা ধর্মীয় সংগীতও চর্চা করছে।
খুমীদের নৃত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘তাংন’ও যুদ্ধ নৃত্য। সাধারণত গো-হত্যা অনুষ্ঠানে যুবক-যুবতীরা ঐতিহ্যবাহী পোসাক পরিচ্ছদ ও অলংকার পরে হাতে হাত ধরে সারিবদ্ধভাবে বাঁশির সুরের সাথে তাল মিলিয়ে এই নাচটা পরিবেশন করে। এই নাচের জন্য তারা বাঁশি ও ঢোল ব্যবহার করে। খুমী সমাজেই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ নৃত্যের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। অতীতে খুমীরা দলবদ্ধভাবে আদিম সাম্যবাদী জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছিলো। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য উপজাতির সাথে প্রতি নিয়তই তাদের সংঘর্ষ হতো। ফলে আত্ম রক্ষার স্বার্থে প্রত্যেক খুমী পুরুষই তৈরী অস্ত্র চালনায় ছিলো সিদ্ধহস্ত। প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে খুমী উপজাতির সর্দার বা যোদ্ধা যখন বীর দর্পে নিজ পাড়াতে ফিরে আসতো তখন তাদের সম্মানে পাড়ার নারী পুরুষ সবাই মিলে এক গান-নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করতো। এ জাতীয় নৃত্যানুষ্ঠানই খুমী উপজাতির ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধনৃত্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। খুমীরা তাদের অতীত শৌর্য বির্যের প্রতীক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জাতীয় যুদ্ধনৃত্যের আয়োজন করে থাকে।
সাধারণ খুমী শিল্পীদল দু’টো পক্ষে বিভক্ত হয়ে এ নৃত্য পরিবেশন করে থাকে। প্রত্যেক পক্ষের সর্দারের হাতে থাকে ঢাল-তলোয়ার। উভয়পক্ষের খুমী যুবকরা বাঁশি বাজিয়ে এবং যুবতীরা হাতে ধরাধরি করে সমস্বরে ই-হু-হু-উ ধ্বনি দিয়ে সর্দারকে বীর দর্পে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
এ জাতীয় যুদ্ধ নৃত্যে খুমী সর্দারের মাথায় লাল কাপড় থাকে এবং তাতে বিভিন্ন বন্যপ্রাণির বড় পালক গুঁজে রাখা হয়। বিভিন্ন গাছের বাকল, গাছ, বাঁশ বা চামড়া দিয়ে নিজেরাই ঢাল তৈরি করে এ নৃত্যে ব্যবহার করে থাকে। এ নৃত্যে ব্যবহৃত সর্দারে হাতের অস্ত্রটি লম্বা দায়ের মতোই, যা দিয়ে প্রতিপক্ষের সর্দারের মস্তক ছিন্ন করে নিয়ে আসা হয়। অনেক সময় এ নৃত্যানুষ্ঠানে ঢোল ও ধাতব ঘণ্টা ‘গং’ বাজানো হয়।
খুমী যুবতীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোসাকে সজ্জিত হয়ে মাথা ও চুলের খোপাকে লাল কাপড় দিয়ে সুন্দরভাবে জড়িয়ে নিয়ে কাঁধ ও কোমর অবধি বুকের ওপর আড়াআড়িভাবে এ প্রস্থ লাল কাপড় বেঁধে নেয়। পুরুষ শিল্পীরাও বিভিন্ন পাখির পালক মাথায় গুঁজে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে। মোটামুটিভাবে যুদ্ধের আবহ এবং পরিবেশ এই নৃত্যানুষ্ঠানে ফুটে ওঠে। দু’পক্ষের সর্দারের আক্রমণাত্মক রণ-কৌশলাদিই এ নৃত্যের প্রাণ। দলে অন্যান্য পুরুষ ও নারী শিল্পীরা কেবল যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে বিজয় উল্লাসে নিজ নিজ সর্দারকে উৎসাহ ব্যঞ্জক ধ্বনি নিয়ে বীরত্ব প্রকাশে স্পনদন যোগায়। ১৯
দৈহিক গঠন : খুমীদের দেহে মঙ্গঁলীয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তবে তুলনামূলকভাবে উচ্চতা কম, রং ধূসর-বাদামী, পায়ের গোড়ালী মোটা, মুখ মন্ডলের নিচের অংশ মোচার মতো ঝোলানো, ঠোঁট মোটা ও কপাল উঁচু।২০
পোসাক-পরিচ্ছদ ও অলংকার : নারীরা পোসাক হিসেবে কেবল ১.৮২ মি. থেকে ২.৪৩ মি. লম্বা ও ৯২ সে.মি চওড়া একপ্রস্থ নীল রঙ্গা অধোবাস ব্যবহার করে। তবে গহণার ক্ষেত্রে তাদের বাড়াবাড়ি বেশি। গহনা গড়ার কাজে রুপা, তামা ও পুঁতিকে প্রাধান্য প্রদান করে। সেগুলোর গঠন যেমন বড়, ওজন ও তেমন বেশি। বিশেষ করে কানের গহনার ওজন এত বেশি হয়ে থাকে যে, সেগুলোর ভারে কানের লতিকাসহ ছিদ্র কদাকার ভাবে লম্বা হয়ে ঝুলতে থাকে। অন্যান্য গহনা হলো মালা, টংকাবায়া>‘কবজিতে পরারপাত’, তামাক বায়া>‘বালা’ পায়ের খাড়– ও করনবাক>‘খোপার কাঁটা’। মালাগুলোর কোনোটি বেশ আটোসাটো আবার কোনটি ঝোলানো। শেষের ধরনের মালা বিশেষ বিশেষ পার্বনিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। পুরুষ-খুমীদের সাধারণ পোসাক নেংটা। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও মঙ্গলীয় পার্বণগুলোতে তার পরিবর্তে তারা লুপ্যা>‘পাগড়ি’, এনথি>‘নাভি পর্যন্ত ঝুলে থাকা বুকচেরা আধাহাতা ও গোল কলার বিশিষ্ট জামা, কোমর বন্ধনি এবং ইয়ত্তবে>‘থলি’ ব্যবহার করে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার পোসাক বেশ কারুকাজময় হয়ে থাকে। তাছাড়া অতীতে যুবক বয়স পর্যন্ত ছেলেরা মাথার উপর ঝুঁটি বেঁধে তাতে কাঁটা গুঁজে রাখতো এবং লেংটির একটি প্রান্ত কোমরের পেছনে পশুর মতো ঝুলিয়ে রাখতো।২১
আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র : নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক আসবাবপত্র তৈরিতে খুমীরা পারদর্শী। খুমীরা নিজেদের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন রকমের বাঁশের তৈরি থ্রু (ঝুঁড়ি) তৈরি করে থাকে। কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তারা দক্ষতার সাথে তৈরি করে থাকে। ঐতিহ্যবাহী দামি পোশাক-পরিচ্ছেদ ও অলংকার সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত টেকসই ঝুঁড়িও তারা তৈরি করে। খুমীদের এসব আসবাবপত্র ম্রো ও বম জনগোষ্ঠীদের ব্যবহৃত আসবাবপত্রের সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
খাদ্যাভাস : খুমীদের প্রধান খাবার হচ্ছে ভাত, মাছ-মাংস ও শাক-সব্জি। খুমীরা সাধারণ দিনে ৩ বার আহার করে। সকালে কাজে যাওয়ার পূর্বে একবার, দুপুরে মধ্যাহ ভোজ এবং সন্ধ্যায় নৈশ ভোজ গ্রহণ করে। তারা প্রয়োজনীয় শাক-সব্জি জুমে চাষ করে এবং জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে। তাছাড়া খুমীরা মুরগী, গরু, শূকর, মহিষ, ছাগল, কুকুর, সাপ,ব্যাঙ, শামুক, গুইসাপ, কচ্ছপ, হরিণ, বানর ও গয়াল ইত্যাদি পশু-পাখির মাংস খায়। খুমীরা বন্য পশুপাখি শিকারে খুবই দক্ষ। খুমীরা রান্নার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে লবণ, হলুদ, আদা, নাপ্পি, পেঁয়াজ, রসুন এবং নানান সুগন্ধ জাতীয় পাতা ও বীজ। রান্নার জন্য ঘরে পাত্র ব্যবহার করলেও জঙ্গলে রান্নার ক্ষেত্রে অনেক সময় লম্বা বাঁশের চোঙ্গা ব্যবহার করে।
শিক্ষা : খুমীরা শিক্ষায় অন্যান্য আদিবাসীদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। খুমীদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা এস.এস.সি পাস করেছে ১জন এইচ.এস.সি পাস করেছে। উচ্চ শিক্ষা নিয়েছে ০১ জন। এদের জন্য কোন প্রাথমিক (সরকারি) বিদ্যালয় নেই। খুমীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় তারা নিজ খরচে তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পড়াতে পারছে না। তবে বান্দরবান জেলার রুমা আবাসিক বিদ্যালয়, ম্রো আবাসিক বিদ্যালয়, লামা কোয়ান্টাম এবং রাঙ্গামাটির মনোঘর শিশু সদনে কিছু কিছু খুমী ছেলে-মেয়ে বিনা খরচে কিংবা কম খরচে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এখন অধিকাংশ খুমী তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী। তাদের ইচ্ছা বান্দরবান জেলার খুমী অধ্যুষিত যে কোন একটি উপজেলায় অন্তত একটি খুমী আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার দ্বার উন্মুক্ত হতো।
উপসংহার : পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী অন্যান্য আদিবাসীর চেয়ে সংখ্যায় কম হলেও খুমীদের নিজস্ব বর্ণমালা, ভাষা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। অর্থনৈতিক দূরাবস্থায় ও শিক্ষার অভাবে যাতে তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ঐতিহ্য কালের গর্ভে হারিয়ে না যায় সে দিকে সরকারসহ সকল সচেতন সমাজের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে একটি বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, একটি স¤প্রদায় পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে না যায়। খুমীদের নৃ-তাত্তি¡ক পরিচয় ধরে রাখার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে, সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে আমাকে, আপনাকে এবং সকলকে।
তথ্যসূত্র :
১। মো. আয়নাল হক, উপজাতিদের ইতিহাস ও জীবনধারা, কৌশিক প্রকাশনী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, জুন-২০০০, পৃষ্ঠা- উপক্রমনিকা, ২। লেলুং খুমী-বাংলাদেশের আদিবাসী, এথনোগ্রাফিয় গবেষণা (১ম খÐ) উৎস প্রকাশন ঢাকা, ডিসেম্বর ২০১০- পৃষ্ঠা-১২১, ৩। মুহাম্মদ আবদুল বাতেন, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা, ডিসেম্বর-২০০৭, পৃষ্ঠা-২৫, ৪। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১২১, ৫। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১২১, ৬। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১২২-১২৩, ৭। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১২৩, ৮। সেলমন এইচ ডিও- বাংলা পিডিয়া (৩), বাংলাদেশ জ্ঞান কোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি-৫, ওল্ড সেক্রেটারিয়েট রোড, নিমতলা, ঢাকা-১০০০, প্রকাশ-মার্চ-২০০৪, পৃষ্ঠা-৮৭, ৯। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১২৩-১২৪, ১০। ড. জাফর আহমদ খান, রাঙ্গামাটি বৈচিত্র্যের ঐকতান, জেলা প্রশাসন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা, চৌদ্দই এপ্রিল, ২০০৪-পৃষ্ঠা-৪৬, ১১। মুহাম্মদ আবদুল বাতেন, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, ‘খুমী’, প্রকাশক, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি-৫, ওল্ড সেক্রেটারিয়েট রোড, নিমতলী, ঢাকা-১০০০, ডিসেম্বর-২০০৭, পৃষ্ঠা-২৬, ১২। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১২৪-১২৫, ১৩। সাগর সরওয়ার-পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী-বিজয় প্রকাশ, ৬৮/২ পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০, ফেব্রæয়ারি-২০০৫, পৃষ্ঠা-৪০, ১৪। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১২৬, ১৫। মুস্তফা মজিদ, আদিবাসী সংস্কৃতি, মাওলা ব্রাদার্স, ৩৯ বাংলা বাজার, ঢাকা, সেপ্টেম্বর-২০০৯, পৃষ্ঠা-৩২৬, ১৬। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১৩০-১৩১, ১৭। ড. জাফর আহমদ খান-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-৪৬, ১৮। লেলুং খুমী-পূর্বোক্ত-পৃষ্ঠা-১৩৪-১৩৭, ১৯। ড. জাফর আহমদ হানাফী, উপজাতীয়, নন্দন সংস্কৃতি, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০। মে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ, পৃষ্ঠা-৩৭-৩৮, ২০। মোহা. মোশাররফ হোসেন, দিব্য প্রকাশ, ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, ফেব্রæয়ারি-২০১২, পৃষ্ঠা-৯৪, ২১। মোহ. মোশারফ হোসেন, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা-৯৬-৯৭।
লেখক : পিএইচ.ডি গবেষক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জা.বি